ইউনাইটেডকে হারিয়ে সিটির চারে চার

কারাবাও কাপ আর ম্যানচেস্টার সিটির ফাইনাল খেলাটা যেন নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়েই দাঁড়িয়েছে। প্রতিযোগিতাটির সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ে উঠে গেছে কোচ পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
এই ইউনাইটেডের বিপক্ষেই গেল মৌসুমে সেমিফাইনালে শেষ হাসি হেসেছে সিটি, দুই লেগ মিলিয়ে জিতেছিলো ৩-২ গোলে। তবে এ মৌসুমে দলটির বাস্তবতা ভিন্ন। পড়তি ফর্মের পাশাপাশি যোগ হয়েছিল ম্যাচের আগে আরও তিন করোনাক্রান্ত হওয়ার খবর। সব মিলিয়ে গার্দিওলার একাদশ সাজানোই পড়ে গিয়েছিল শঙ্কায়। তবে সেসব শঙ্কা কি দারুণভাবেই না উড়িয়ে দিল সিটি!
দারুণভাবে বললে ঠিক শোনাবে না হয়তো। প্রথমার্ধে যে সিটি কোনো শটই রাখতে পারেনি লক্ষ্যে! উল্টো ইউনাইটেডই ত্রাস ছড়াচ্ছিলো সিটিজেনদের বিপদসীমায়। নবম মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেজের শট দারুণ দক্ষতায় রক্ষা করেন সিটি গোলরক্ষক জ্যাক স্টিভেন। মিনিট চারেক পর কেভিন ডি ব্রুইনার শট পোস্টে প্রতিহত হলে হতাশ হতে হয় সিটিকে। প্রথমার্ধের চুম্বকাংশ কেবল অই পর্যন্তই।
শুরুর ৪৫ মিনিটে নিজেদের ছায়া হয়ে থাকা সিটি স্বরূপে ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে। বাঁ প্রান্ত থেকে ফিল ফোডেনের ফ্রি কিক থেকে গোল পান জন স্টোনস। চার বছর পর প্রথমবারের মতো গোলের উৎসবে মাতেন এই সিটি ডিফেন্ডার।
এরপর ম্যাচে ফেরার লক্ষ্যে মরিয়া ইউনাইটেড আক্রমণের ধার বাড়ালেও প্রতিপক্ষ বক্সে গেলেই ভোঁতা হয়ে পড়ে সব আক্রমণ। ফলে সমতা আর ফেরানো হয়নি তাদের। উল্টো সিটিই ব্যবধান বাড়ায় ৮০ মিনিটে। কর্নার ঠিকঠাক বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় ইউনাইটেড রক্ষণ। বক্সের বাইরে আসা বলে জোরালো শটে গোল পান সিটির ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফার্নান্দিনিয়ো। ম্যাচটা ততক্ষণে চলে যায় কোচ ওলে গুনার সোলশায়ারের দলের ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর সিটি ২-০ গোলে জিতে নিশ্চিত করে টানা চতুর্থ কারাবাও কাপ ফাইনাল।
আগের দিন কোচ হোসে মরিনিওর টটেনহ্যাম একই ব্যবধানে হারিয়েছে তৃতীয় বিভাগের দল বেন্টফোর্ডকে। মরিনিও-গার্দিওলার দলের ফাইনালটি হবে আগামী ২৫ এপ্রিল।
এনইউ