কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি বদল

সম্প্রতি ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি পদত্যাগ করেছিলেন। এবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতিকে অব্যাহতি দিয়েছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুদ্দিন হায়দারকে (অব) কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি মনোনীত করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আজ পুর্নগঠিত কমিটিতে হায়দারকে বাদ দিয়ে সহ-সভাপতি আশিক সাঈদকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে।
কুস্তি ফেডারেশনে এ নিয়ে তৃতীয় দফা কমিটি পরিবর্তন করল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। প্রথম ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাহবুবুল আলম জীবন। অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে সরিয়ে ১ জুন মেজবাহ উদ্দিন আজাদকে সাধারণ সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তখন যুগ্ম সচিব পদেও রদবদল করে ফারুক উদ্দিন আহমেদের পরিবর্তে একেএম আব্দুল মবিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। দুই মাস পর এবার সভাপতি হায়দারকে সরিয়ে আশিককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে।
গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এক যোগে ৪২ ফেডারেশনের সভাপতি অপসারণ করেছিল। এরপর সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কয়েক মেয়াদে বিভিন্ন ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন হয়েছে। কোনো কমিটির সভাপতিকে অব্যাহতি বা অপসারণ দেয়নি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আকস্মিক কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি সরানোয় ক্রীড়াঙ্গনে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ফখরুদ্দিন হায়দারের ক্রীড়াঙ্গনে মূলত পরিচিতি বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাপরিচালক হিসেবে। পাশাপাশি প্যারা অলিম্পিক কমিটিতেও কাজ করেছেন তিনি। বিওএ সাবেক মহাপরিচালক সম্প্রতি বিওএ'র গঠনতন্ত্র যুগপোযোগী কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। গঠনতন্ত্র নিয়ে কাজের সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে তার দূরত্ব ও বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল বলে জোর গুঞ্জন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রকৃত অভিভাবক। কমিটি রদবদল করার আইনগত অধিকার রয়েছে এই সংস্থার। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মূলত সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন/ক্রীড়া সংস্থা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাহী সভা করে নির্ধারণ করে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ঘোষিত কোনো কমিটিতে ভারপ্রাপ্ত কোন পদ সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি। কুস্তি ফেডারেশনে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস আদেশ প্রদান করেছে এনএসসি।
এজেড/এইচজেএস