তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়কের পথে ভারত, বড় পরিকল্পনা গম্ভীরের

ভারতের হেড কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক সাহসী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন গৌতম গম্ভীর। তার কোচিংয়ের শুরুর ধাক্কায় লাল বলের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন তিন অভিজ্ঞ তারকা—রবিচন্দ্রন অশ্বিন, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। অনেকেই মনে করেন, গম্ভীরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কারণেই এই অবসর।
টেস্ট দলের নেতৃত্ব এখন শুভমান গিলের হাতে। আর নতুনদের জায়গা করে দিতে অনেক পুরনো মুখ হারিয়েছেন জায়গা। এবার পালা সীমিত ওভারের ক্রিকেটের। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আসছে আরও বড় পরিবর্তন।
‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গম্ভীর চান ভারতের তিন ফরম্যাটে থাকুক একজনই অধিনায়ক। বর্তমানে টেস্টে অধিনায়ক শুভমান গিল, ওয়ানডেতে রোহিত শর্মা এবং টি-টোয়েন্টিতে সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু গম্ভীর চান এই বিভাজনের অবসান।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোহিত শর্মাও শিগগিরই একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে পারেন। সম্ভবত অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরই তিনি সরে দাঁড়াবেন। তখন শুভমান গিলকে সব ফরম্যাটে দায়িত্ব দিতে চায় বোর্ড ও কোচ। ফলে সূর্যকুমার যাদবকেও টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব হারাতে হতে পারে। তবে সেটা এশিয়া কাপের পরেই হবে বলে ধারণা। এশিয়া কাপে সূর্যের ওপরেই ভরসা রাখতে চায় দেশটির বোর্ড।

টি-টোয়েন্টি দলে শুভমান গিলের জায়গা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে যদি তাকে ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হয়, তাহলে এশিয়া কাপেই দলে ফিরতে পারেন তিনি। বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গম্ভীর একটি "একক সংস্কৃতি" গড়ে তুলতে চান, যেখানে তিন ফরম্যাটে একজন অধিনায়ক থাকবে। তিনি বিশ্বাস করেন, সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলকে ঢেলে সাজাতে হবে।
গম্ভীর চান, ছোট ফরম্যাটের জন্য গড়ে তোলা হোক বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটারদের দল। তাদের প্রধান দায়িত্ব হবে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলা। তবে কিছু খেলোয়াড় থাকবেন, যারা তিন ফরম্যাটেই খেলতে পারবেন। তিনি আলাদা করে কোনও 'ফিনিশার' রাখতে চান না। বরং, খেলোয়াড়ের দক্ষতা অনুযায়ী ব্যাটিং পজিশন ও ভূমিকা নির্ধারিত হবে। যেমন শিবাম দুবেকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—যিনি একদিকে যেমন ফিনিশার, অন্যদিকে প্রয়োজন হলে ওপেনিংয়েও নামতে পারেন।
গম্ভীর টি-টোয়েন্টিতে অত্যন্ত সফল ছিলেন খেলোয়াড় এবং মেন্টর হিসেবে। তাই তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট—আইপিএলের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই জাতীয় টি-টোয়েন্টি দল গঠন করা উচিত। এশিয়া কাপের দল বাছাইয়ে দেখা যেতে পারে এই নতুন পরিকল্পনার প্রতিফলন। সেখানে দেখা যেতে পারে শুভমান গিল, হার্দিক পান্ডিয়া, জসপ্রীত বুমরাহর মতো অভিজ্ঞদের সঙ্গে কিছু নতুন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ক্রিকেটারকে।
এফআই