‘বিশ্বের সব প্লেয়ার সংগ্রাম করে, আমিও করছি’

হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। যেখানে অধিনায়ক লিটন দাস কার্যকর এক ফিফটির ইনিংস খেললেও অন্য কেউ তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রেকর্ড সর্বোচ্চ ৯৫ রানের জুটি গড়েন লিটন। লিটন ৩৯ বলে ৫৯ রানে থামলেও, ৩৬ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন হৃদয়।
সেই সুবাদে ১৪ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকলেও ধীরগতির ইনিংস খেলে আবারও আলোচনায় এসেছেন হৃদয়। চলতি বছর স্ট্রাইকরেটের কারণে তার ব্যাটিং নিয়ে বারবারই প্রশ্ন উঠেছে। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে নিজের ফর্মের পতন নিয়ে বলতে গিয়ে হৃদয় উদাহরণ দিয়েছেন ‘বিশ্বের বড় ব্যাটাররাও সংগ্রাম করা’র প্রসঙ্গ টেনে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার বলেন, ‘(নিজের ব্যাটিংয়ে) উন্নতির জায়গা তো অনেক আছে। চেষ্টা করছি উন্নতি করার। হ্যাঁ সংগ্রাম করছি। বিশ্বের সব প্লেয়ার করে কমবেশি। আমিও করছি। ২-৩টা ইনিংস আছে যেখানে ৩০ রানে আউট হয়ে যাচ্ছি। চেষ্টা করছি যেন আরও কিছু বাউন্ডারি বের করতে। সেটা পারলে আরও ভালো হবে আরকি।’
আরও পড়ুন
শিগগিরই নিজের পুরোনো ছন্দে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী হৃদয়, ‘আমি অবশ্যই এটা (অফ ফর্মের কথা) মাথায় থাকলে ভালো খেলতে পারব না। আমার টার্গেট থাকে নতুন দিন। ভালোভাবেই শুরু করার চেষ্টা করি। গত কয়েক ইনিংসে রান বড় হয়নি। আশা করছি সামনে ইনশাআল্লাহ বড় কিছু করব। একটা গ্রাফে তো কোনো প্লেয়ারই যেতে পারে না। আশা করি সামনে সুযোগ আসলে আমার সেরাটা দিতে পারব।’
ধীরগতির ব্যাটিংয়ের কারণে বাংলাদেশ যেমন বেশি উইকেট হারায়নি, তেমনি সুযোগ পাননি লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররাও। এ প্রসঙ্গে হৃদয়ের ভাষ্য, ‘অনেক বড় বড় দলেও অনেক ব্যাটার নামতে পারে না। খেলা আগেই শেষ হয়ে যায়। আমরা সেভাবেই অনুশীলন করছি নিজেদের যেভাবে কাজ করা (দরকার) সেভাবে করার।’
এসএইচ/এএইচএস