হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে স্কুল হ্যান্ডবল

হ্যান্ডবল ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি নানা নতুনত্ব আনছে। এবার স্কুল হ্যান্ডবলের কলেবর বাড়ানোর পাশাপাশি হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ ফেডারেশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
হ্যান্ডবল ফেডারেশন নিয়মিতই স্কুল হ্যান্ডবল করে থাকে। তবে এবার একটু ভিন্ন পদ্ধতিতে করবে। বালক ও বালিকা উভয় বিভাগে কয়েক ধাপ পেরিয়ে চারটি দল সুপার ফোরে খেলবে। সেই সুপার ফোরের চার দল একে অন্যের স্কুলে গিয়ে খেলবে অনেকটা ফুটবলের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের আদলে।
ঢাকার অনেক স্কুলে হ্যান্ডবলের প্রচলন থাকলেও আবার অনেক স্কুলেই নেই। এ নিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদের ব্যাখ্যা, 'শীর্ষ স্কুলগুলোর হ্যান্ডবল খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। যে স্কুলের নেই বা স্বাগতিক হতে পারবে না তারা ফেডারেশনের কোর্ট ব্যবহার করবে। স্কুলগুলোতে হ্যান্ডবল আরো জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় করতে আমাদের এই উদ্যোগ।'
বালক বিভাগে চার গ্রুপে ১৬ দল অংশগ্রহণ করছে। চার গ্রুপের চার চ্যাম্পিয়নের পাশাাপশি তিন রানার্স আপের সঙ্গে গত আসরের শীর্ষ তিন দল নিয়ে হবে মূল কাপ পর্ব। সেই কাপ পর্বে দুই গ্রুপ হবে। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সুপার ফোরে খেলবে। তারা মূলত হোম-অ্যান্ড অ্যাওয়ে খেলবে। বালিকা বিভাগেও একই ফরম্যাট। প্লেট পর্বের জন্যও রয়েছে আলাদা সেমিফাইনাল-ফাইনাল। স্কুল পর্যায়ে এত ম্যাচ আগে কখনো আয়োজন করেনি হ্যান্ডবল ফেডারেশন। খেলোয়াড় তৈরি এবং ডেভলপমেন্টের জন্য ফেডারেশন স্কুল হ্যান্ডবলকে জোর দিয়েছে।
প্রাথমিক পর্বের কয়েকটি ম্যাচ হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। হ্যান্ডবল কখনো হকি স্টেডিয়ামে হয়নি। এ নিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য, 'জাতীয় ভারত্তোলনের জন্য আমাদের এই ভেন্যু তিন-চার দিন ছাড়তে হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনুরোধ করেছে। খেলাগুলো শেষ করার জন্য হকি স্টেডিয়ামে কয়েকটি ম্যাচ রাখা হয়েছে। সেখানে বল বাউন্স করবে সেটা আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি।'
স্কুল হ্যান্ডবলের নিয়মিত পৃষ্ঠপোষক পোলার আইসক্রীম। পোলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হাবিব সহ ফেডারেশনের অন্য কর্মকর্তারাও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এজেড/এইচজেএস