শেষ হলো লেভেল থ্রি কোর্স, কী শিখলেন কোচরা?

সবশেষ ১৬ বছর আগে বাংলাদেশে হয়েছিল লেভেল থ্রি কোচিং কোর্স। লম্বা সময় পর এবার বিসিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো এই কোর্স। চলতি মাসের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়েছে লেভেল থ্রির এই কোর্স। যেখানে রাজিন সালেহ, হান্নান সরকার, তালহা জুবায়ের, তুষার ইমরানসহ সবমিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ জন কোচ এই কোর্স করেছেন।
বিসিবি ছাড়াও বাইরের কয়েকজন কোচ ছিলেন এই কোর্সে। সবশেষ ২০০৯ সালে (লেভেল থ্রি) কোর্স হয়েছিল, তবে সেটি ছিল আইসিসি-এসিসির উদ্যোগে। এবার বিসিবির উদ্যোগে হল এই লেভেল থ্রি কোর্স। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার প্রশিক্ষকরা প্রশিক্ষণ করিয়েছেন।
দেশের সম্ভাবনাময় কোচ যারা আছেন, উঁচু পর্যায়ে কোচিং করাতে প্রস্তুত, কিন্তু লেভেল থ্রি করতে পারেননি, তাদের জন্য এই কোর্সের আয়োজন ছিল। এটিও খুব হাই-প্রোফাইল প্রোগ্রাম হয়েছে বলে বিশ্বাস সকলের। এরপর জেলা ও বিভাগীয় কোচদের মানোন্নয়নে করানো হবে লেভেল ওয়ান ও লেভেল টু কোর্স।
কোর্সে থাকা তালহা জুবায়ের বলেন, 'খুব ভালো একটা সেশন করেছি। সামনে কোচিং ক্যারিয়ারে এটা খুবই কাজে দিবে। যদিও যা শিখেছি আগেও সে সম্পর্কে ধারণা ছিল। তবে বায়োমেকানিক্সটা নতুন করে আবারো শিখেছি। এ ছাড়া রুলস, প্নানিং সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি। সামনে অস্ট্রেলিয়ায় কোচিং করাতে যাব তখন বুঝতে পারব নিজের উন্নতিটা।'
বিকেএসপির প্রধান কোচ মন্টু দত্ত বলেন, 'লেভেল থ্রি দারুণ কোচিং হলো। আমি চিন্তাই করতে পারিনি এখন এসে এতকিছু শিখতে পারব। আগে বায়োমেকানিক্সটা এত কিছু ছিল না এখন সবকিছু বুঝতে পারছি। আমরা এটা জানলে নতুন প্রজন্মকে ভালো করে শেখাতে পারব। লেভেল থ্রি করার কারণে দেশকে অনেক কিছু দিতে পারব।'
রাজিন সালেহ বলেন, 'শেখার তো শেষ নেই, ৫ দিন কোর্স করে সব শিখে ফেলেছি এমন না। এটা অনুশীলনের বিষয় রয়েছে, যে কাজগুলো দিয়েছে সেগুলোতো করতে হবে। সত্যি কথা বলতে এটা করে উপকার হয়েছে, ভবিষ্যতে আমার এবং ক্রিকেটারদের জন্য কাজে লাগবে। লেভেল থ্রি আয়োজনের জন্য ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ দিতে চাই।'
এসএইচ/এইচজেএস