সেমিফাইনালে বাংলাদেশের জারিফের ছন্দপতন
৩৫তম বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড টেনিস ট্যুর জুনিয়র জে-৩০ প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালেই থেমেছে বাংলাদেশ। প্রত্যাশা জাগিয়ে টুর্নামেন্টের শেষ চারে গেলেও ফাইনালের মঞ্চে জায়গা করে নিতে পারলেন না স্বাগতিক তারকা জারিফ আবরার। সেমিফাইনালে তাকে থামিয়েছেন থাইল্যান্ডের আরিয়াফল লিকুল। সরাসরি সেটে জয় পেয়ে ফাইনালে উঠেছেন তিনি।
জারিফ গতকাল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় শীর্ষ বাছাইয়ের সঙ্গে জিতেছিল। আজ তার প্রতিপক্ষ ছিল সপ্তম সীডেড খেলোয়াড়। স্বাভাবিকভাবে জারিফ ফেভারিট ছিল এবং ভালো কিছুর প্রত্যাশায় ছিল টেনিস অঙ্গন। সেমিফাইনালে সবাইকে বিস্মিত করে জারিফ সরাসরি সেটে হেরেছেন। প্রথম সেটে ১-৬ গেমে হেরে যান তিনি। দ্বিতীয় সেটে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি (৪-৬ গেম)।
জারিফ আজ হারের পর বলেন,‘আজ একটু অফ ছিলাম। টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা হচ্ছিল। ব্যাক এবং ফোরহ্যান্ড দু'টোই স্বাচ্ছন্দ্য হচ্ছিল না। সপ্তম সীডের খেলোয়াড় হলেও সে ভালো মানের। তাকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখিনি।’ জারিফ বাংলাদেশের টেনিসের নতুন সম্ভাবনা। তিনি আগামীর পরিকল্পনা ব্যক্ত করলেন এভাবে, ‘আগামী মাসে বাহরাইনে ডেভিস কাপ রয়েছে। এজন্য প্রস্তুত নিব। ফেব্রুয়ারির দিকে আমেরিকায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আবার। স্পন্সর পেলে সেখানে কয়েক মাস ট্রেনিং করব। টেকনিক্যাল সমস্যা সমাধানে কোচিং প্রয়োজন।’
টুর্নামেন্টে আজ বালক দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের শৌনক চ্যাটার্জি ও অমৃত ধনকর জুটি। তারা হারিয়েছে চীনের চুয়ান ডিং ও কেঝি লি জুটিকে। ২-০ সেটে জয় পেয়েছে এই ভারতীয় জুটি। তবে প্রথম সেট দারুণ জমে উঠে এবং এর নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। দ্বিতীয় সেটেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে উঠলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি চুয়ান ডিং ও কেঝি লি জুটি। ৬-৪ গেমে দ্বিতীয় সেট জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চ্যাটার্জি ও অমৃত জুটি।
বালিকা দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মালদ্বীপের আরা আসাল আজিম ও ভারতের সানমিথা হারিনি জুটি। এই ফাইনালও জমে উঠেছিল। ১-১ ব্যবধানে সেটে সমতা থাকায় টাইব্রেকারে খেলার নিষ্পত্তি হয়। আসাল-হারিনি জুটি প্রথম সেটে জয় পায় ৬-৪ গেমে। তবে দ্বিতীয় সেট ৬-১ গেমে জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় চীনের তিয়ানরান-জিকান জুটি। দুটি সেটে ১-১ এ সমতা থাকায় ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানে ১০-৪ গেমে জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে আরা আসাল আজিম ও সানমিথা হারিনি জুটি।
এজেড/এফআই
