‘ঘরের মাঠের সুবিধা নিতেই হবে, আমরা ১০ নম্বরে আছি’

সাধারণত সব দলই নিজেদের মাঠ ও কন্ডিশনকে নিজেদের অনুকূলে ব্যবহার করে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে স্পিন-নির্ভর উইকেট বানিয়ে গতকাল (শুক্রবার) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে জিতেছে টাইগাররা। সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল অবশ্য এটিকে কোনো সমস্যা মনে করেন না। তার মতে, দলের বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন উইকেটে খেলা যুক্তিসম্মত।
২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে র্যাঙ্কিংয়ের নয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। বর্তমানে তাদের অবস্থান ১০। যদিও র্যাঙ্কিং বিবেচনায় নেওয়ার আগে বাংলাদেশের আরও ২০টির বেশি ম্যাচ বাকি। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেই মেহেদী হাসান মিরাজের দল র্যাঙ্কিংয়ে একধাপ এগিয়ে যাবে। এমন সমীকরণ নিয়ে নেমে গতকাল বাংলাদেশ ২০৭ রান তোলে। রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে (৬ উইকেট) ক্যারিবীয়রা গুটিয়ে যায় ১৩৩ রানে।
প্রথম ওয়ানডে শেষে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ‘আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি, ঘরের মাঠের সুবিধা নিতেই হবে। র্যাঙ্কিংয়ে আমরা ১০ নম্বরে আছি। যদি বিশ্বকাপ খেলতে হয় আমাদের ৯ নম্বরে যেতে হবে। ফলে এই তিনটা ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য।’

বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে উইকেট নিয়ে নেতিবাচক কথা বন্ধ করার আহবান সাবেক এই তারকা ব্যাটারের, ‘নিয়মিত মিরপুরে যার সঙ্গেই খেলি, আমরা ফেভারিট থাকি এই কন্ডিশন ও উইকেটের কারণে। আমরা যে ফ্ল্যাট, যথার্থ উইকেট আশা করি সেটা হয়তো এই সিরিজে হচ্ছে না। বিশ্বকাপ খেলতে বাকি দুটি ম্যাচও জিততে হবে। এ পরিস্থিতিতে উইকেট নিয়ে নেতিবাচক কথা না বলি। মেনে নিই।’
আশরাফুল মনে করেন, বাংলাদেশ দলের ভঙ্গুর আত্মবিশ্বাস ফেরাতে এমন উইকেটই দরকার ছিল। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের যে পরিস্থিতি, আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে এই ধরনের উইকেট দরকার ছিল। ভারতে তারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) সবশেষ টেস্ট সিরিজে ওদের দুজন ব্যাটার সেঞ্চুরি করে এসেছে। যদি ফ্ল্যাট উইকেট দিতেন, অন্যরকম খেলা হতো।’
আরও পড়ুন
এই মুহূর্তে জয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি বলেও উল্লেখ করেন আশরাফুল, ‘জয় একটা অভ্যাস। জিততে জিততে যখন বড় আসরে যাব, যাওয়ার আগে অন্তত দেড়-দুই মাস ঠিকঠাক প্রস্তুতি ও ম্যাচ যদি খেলতে পারি; যে কন্ডিশনে বিশ্বকাপ, সেরকম কন্ডিশনে ভালো প্রস্তুতি যদি নিতে পারি, তখন একটা ভালো ফল আশা করতে পারি। এখন কাউকে দোষারোপ করব না।’
এসএইচ/এএইচএস