কোটি টাকার টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের চোখ ফাইনালে

সত্তর-আশির দশকে বেশ জনপ্রিয় খেলা ছিল ভলিবল। সময়ের বিবর্তনে সেই ভলিবল আগের সেই জৌলুস হারিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেন্ট্রাল এশিয়ান টুর্নামেন্ট আয়োজন করে মাঝে মধ্যে আলোচনায় এসেছে খেলাটি। আবারও ২২-২৮ অক্টোবর ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্টেডিয়ামে ছয় জাতির টুর্নামেন্টের স্বাগতিক বাংলাদেশ। অন্য পাঁচ দেশ হচ্ছে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, তুর্কমেনিস্তান ও আফগানিস্তান।
কাভা কাপ টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে আজ বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের অডিটরিয়ামে ট্রফি উন্মোচন ও সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিমল ঘোষ ভুলু বলেন, 'এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে আমাদের বাজেট ১ কোটি ২০-৩০ লাখ টাকা। এর বেশি আমরা ব্যয় করব না। আগে অনেক ব্যয় হয়েছে সেই ব্যাখ্যায় যাব না। আমাদের লক্ষ্য টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা।’
বাংলাদেশ জাতীয় ভলিবল দলের অধিনায়ক হরষিত বিশ্বাস বলেন, 'আমরা মাঝে খেলার মধ্যে ছিলাম না। গত দুই দিন আফগানিস্তানের বিপক্ষে দু’টি ম্যাচ খেলেছি। দু’টি ম্যাচই জিতেছি এতে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে আমাদের মাস খানেকের বেশি প্রস্তুতি রয়েছে ফলে ফাইনাল খেলতে চাই।'
ভলিবল ফেডারেশন এসএ গেমস সামনে রেখে জাপানী কোচ রায়ান মাসাজেদিকে এনেছে। আজ সংবাদ সম্মেলনে কোচ বলেন, 'আমি খেলোয়াড়দের টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত করেছি। ম্যাচ অনুশীলনের ঘাটতি ছিল কিছুটা আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলায় সেটা খানিকটা পূরণ হয়েছে। ফাইনাল খেলার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।'
আগামী বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানে এসএ গেমস ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে। ফলে ফেডারেশনের পক্ষে জাপানী কোচ বহন করাও কষ্টসাধ্য। এ নিয়ে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লতিফ শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, 'আমরা এই টুর্নামেন্ট শেষ করে সভায় বসব। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। ভলিবলের উন্নয়নের জন্য আমরা তাকে রাখতে চাই।'
কোটি টাকার টুর্নামেন্টে সিংহভাগ যোগান দিচ্ছেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লতিফ শাহরিয়ার জাহেদী। এতে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠে ফেডারেশনের সভাপতির ভূমিকা নিয়ে। এ প্রসঙ্গে লতিফ শাহরিয়ার বলেন, 'একটি ফেডারেশন বা খেলা একার পক্ষে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সভাপতি ও আমরা সবাই মিলে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি ভলিবলকে এগিয়ে নেয়ার। এক সময় ভলিবলের র্যাংকিং ছিল ৬৫-৭০ এর মধ্যে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ না করায় সেটা একশ’র বাইরে। এজন্য আমরা এখন আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।'
এজেড/এইচজেএস