ইমরুলের আক্ষেপ, সোহানে ম্লান মিঠুনের ফিফটি

অফ ফর্ম আর চোট, এই দুয়ের মারপ্যাঁচে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন ইমরুল কায়েস। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শুরু থেকে খেলতে পারেননি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে। করোনা নেগেটিভ হয়ে ডিপিএলে ফিরেছেন, তবে রানের দেখা পাচ্ছেন না। আজ (রোববার) শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ফিফটির খুব কাছে গিয়ে ৪৪ রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
বৃষ্টির কারণে স্থগিত হয়ে গেছে ডিপিএলের সুপার লিগ পর্বের প্রথম ম্যাচ। বৃষ্টির প্রকোপ কমার পর মাঠে গড়ায় দিনের দ্বিতীয় খেলা। যেখানে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মুখোমুখি হয় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এ ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটিতে শেখ জামালের সামনে ১৬৫ রানের লক্ষ্য দেয় প্রাইম ব্যাংক। পরে সৈকত আলীর ফিফটি ও ইমরুল কায়েসের ৪৪ ও নুরুল হাসান সোহানের ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে জামাল।
এদিন মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রাইম ব্যাংককে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় শেখ জামাল। চোটের কারণে সুপার লিগ থেকে ছিটকে যাওয়া তামিম ইকবালকে আজ পায়নি প্রাইম ব্যাংক। রুবেল মিয়াকে নিয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন রনি তালুকদার। তবে সুবিধা করতে পারেননি রনি, ১১ রান করে আউট হন স্পিনার ইলিয়াস সানীর বলে। ২১ রানে ব্যাট করার সময় রুবেল মিয়াকেও ফেরান তিনি।
বিজয়ের আউটের পর রকিবুল হাসানকে নিয়ে দলকে বড় পুঁজি পাইয়ে দেন মিঠুন। এক ফাঁকে তুলে নেন নিজের ফিফটি। চলতি ডিপিএলে এটি তার তৃতীয় অর্ধশতক হাঁকানো ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে মিঠুন-রকিবুলের অবিচ্ছেদ্য ৭৩ রানের জুটিতে ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ১৬৪ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক। ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন মিঠুন। ৪২ বলের ইনিংসটি সাজান ৭টি চার ও ২টি ছয়ের মারে। রকিবুল অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ৩৪ রানে।
১৬৫ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন শেখ জামালের ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুল। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রুবেল হোসেনকে স্কুপ করে দুর্দান্ত একটি চার মারেন তিনি। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি আশরাফুল, পরের ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে বোল্ড হন ৫ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে শেখ জামালের জয়ের ভিত গড়ে দেন সৈকত আলী ও ইমরুল কায়েস। দুজনের জুটি থেকে পাক্কা ১০০ রান।
ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ফিফটি তুলে নেন সৈকত। ৬০ রানে আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলের ইনিংসটি সাজান ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে। এবারের ডিপিএলে এর আগে ৪ ইনিংস ব্যাট করলেও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি ইমরুল। আজ ফিফটির খুব কাছে গিয়েছিলেন। তবে ৬ রানের আক্ষেপে ৪০ বল খেলে ৪৪ রান করে আউট হন তিনি।
৫ রানের ব্যবধানে সৈকত আর ইমরুল আউট হলে দলের হাল ধরেন সোহান। শরিফুল, মনির, রুবেল, মুস্তাফিজদের শাসন করতে নিজের ব্যাটে ঝড় তোলেন তিনি। সোহানের ৪৪ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ১১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় শেখ জামাল। সোহান অপরাজিত থাকেন ১৭ বলে ৪৪ রান করে। যেখানে ২টি চারের পাশাপাশি ৪টি ছক্কা হাঁকান সোহান।
টিআইএস/এটি