‘মিরপুরের কালো উইকেট দেখে ভেবেছিলাম টিভিতে সমস্যা’

প্রথম ওয়ানডের পর হঠাৎ করেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে ঢাকায় উড়িয়ে আনা হয়েছে বাঁ-হাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে। রাতে এসে পরদিন দুপুরেই আবার ক্যারিবীয়দের একাদশে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়েও অবদান ছিল আকিলের। পরবর্তীতে তিনি মিরপুরের কালো মাটির উইকেট নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন। আকিলের মতে– বাসায় বসে খেলা দেখার সময় মনে হয়েছিল টিভিতে সমস্যা।
এই প্রসঙ্গে গতকাল (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে আকিল বলেন, ‘আসলে যখন আমি খেলা দেখেছি প্রথমে ভেবেছি আমার টিভিতে কোনো সমস্যা হয়েছে। তাই টিভি চেক করেছি। ভেবেছি কালার চলে গেল, নিশ্চয়ই টিভিতে কোনো সমস্যা হয়েছে। পরে দেখলাম পিচই কালো। হ্যাঁ (এমন পিচে) সারপ্রাইজড হয়েছি। কেন দলে ছিলাম না তা নির্বাচকরাই জানেন। দলে থাকলে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে চাই।’
প্রথম ওয়ানডের মতো কালকের ম্যাচেও মিরপুর শের-ই বাংলার উইকেট প্রায় একই ছিল। কেবল কালো রংটাই কমেছে কিছুটা। পিচ নিয়ে আকিল বলেন, ‘বল কিছুটা লাফাচ্ছিল। ফেয়ার পেইসে টার্ন হয়নি। বাঁ-হাতির বিপক্ষে স্কোয়ারে বল করতে চেয়েছি। চেষ্টা করেছি যত কাছে গিয়ে বল স্পিন করানো যায়, স্কোয়ারে বল করতে, কারণ সেখানেই বাউন্ডারিটা বেশি বড়।’

আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে খেলবে দুই দল। এদিনও পিচ এমন থাকতে পারে উল্লেখ করে ব্যাটারদের সচেতনতা চান এই ক্যারিবীয় তারকা, ‘(তৃতীয় ম্যাচে) আপনি আসলেই ভাবছেন উইকেট চেঞ্জ হবে? (হাসি)। আমাদের আরও বেশি ব্যাটসম্যানশিপ দেখাতে হবে। বিশেষ করে টপ অর্ডার থেকে। লোয়ার অর্ডারের জন্য টিকে থাকা অনেক কঠিন। কারণ (বাংলাদেশ দলে) বেশ কিছু ভালো স্পিনার রয়েছে। বলটাও তখন অনেক ইউজড হয়ে যায়। আমাদের এখান থেকে শিখতে হবে। ব্যাটারদের সমস্যাটা শুধরে নিতে হবে। আশা করি পরের ম্যাচটা আরও সহজে জেতা যাবে।’
আরও পড়ুন
এমন পিচে স্পিনারদেরই মূল কাজটা করতে হবে বলে দাবি আকিলের, ‘এই সারফেসে আসলে পেসারদের থেকে প্রত্যাশা করাটা ভুল হবে। আমাদের কিছু ভালো স্পিনার আছে। অলিক (আথানাজে) পার্ট টাইমার হলেও আজকে দারুণ করল। শৃঙ্খলাই (সাফল্যের) চাবিকাঠি। সে লাইন লেংথে দারুণ শৃঙ্খলা ধরে রেখেছিল। যা করতে বলা হয়েছে, স্টাম্প টু স্টাম্প বল করা, সে করে গেছে। আমাদের বেস্ট কম্বিনেশন, লেফট-রাইট কম্বিনেশন ধরে এগিয়ে যেতে হবে এবং এটাই বেশি করতে হবে।’
এসএইচ/এএইচএস