১০ বছরে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি, আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন সাদমান

দারুণ বোঝাপড়ায় বাংলাদেশের পুঁজিটা ক্রমশ বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। এমনকি গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটিও গড়েন তারা। কিন্তু এরপর খুব বেশিদূর যাওয়া হলো না। সাদমান সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন, আর ১৬৮ রানে ভাঙল বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। এর মধ্য দিয়ে ব্রেকথ্রু পেতে দীর্ঘ অপেক্ষারও অবসান হলো আয়ারল্যান্ডের।
বাঁ–হাতি আইরিশ স্পিনার ম্যাথু হামপ্রিসের কিছুটা বাইরের বল কাট করতে দেরি করে ফেলেছেন সাদমান। যা তার ব্যাট আলতো স্পর্শ নিয়ে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে ধরা পড়ে। আয়ারল্যান্ডের আবেদনে প্রথমে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে প্রথম সাফল্য পেল সফরকারীরা। ১০৪ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রানে থামলেন সাদমান।
ওপেনিং জুটিতে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৩১২ রানের রেকর্ড গড়েছিল ২০১৫ সালের এপ্রিলে। খুলনায় অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। এরপর ২০২২ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তামিম ও মাহমুদুল হাসান জয় মিলে ১৬২ রান করেন। যা ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আজ জয়-সাদমানের মিলে ১৬৮ রান গত ১০ বছরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি।

সাদমান ফিরলেও, সেঞ্চুরির প্রত্যাশা নিয়ে ক্রিজে আছেন জয়। এই মুহূর্তে তিনি ৯০ এবং মুমিনুল হক ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৮৮ রান। এর আগে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে জয়-সাদমানের ফিফটিতে টাইগাররা বিনা উইকেটে ১০৯ রান করেছিল।
এর আগে দিনের খেলা শুরুর মাত্র ১৫ মিনিটের মাথায় আয়ারল্যান্ডের অবশিষ্ট দুই উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। সফরকারী আইরিশরা প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রান তোলে। তাদের পক্ষে পল স্টার্লিং সর্বোচ্চ ৬০, ক্যাড কারমাইকেল ৫৯, কার্টিস ক্যাম্ফার ৪৪, লরকান টাকার ৪১, ম্যাককার্থি ৩১ এবং জর্ডান নেইল ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ ছাড়া হাসান, হাসান মুরাদ, তাইজুল ২টি করে এবং নাহিদ রানা এক উইকেট নিয়েছেন।
এএইচএস