১১ টেস্টে ১০ জয়, বাভুমাই প্রথম

‘টেম্বা বাভুমাকে কৃতিত্ব দিতে হয়... একজন অধিনায়ক হিসেবে যে স্বীকৃতি তার প্রাপ্য, সেটা সে পায় না’- ভারতকে কলকাতা টেস্টে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ককে নিয়ে এই কথা বলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক অনিল কুম্বলে। অবশ্য টেম্বা বাভুমার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় থাকেন না। নিজের কাজ করে যান দক্ষহাতে। এই যেমন ভারতের পেসার জসপ্রীত বুমরাহ ‘বেঁটে’ বলে খোঁচা দিলেও ভেঙে পড়েননি তিনি। বরং বটগাছের মতো দাঁড়িয়ে গেছেন দলের জন্য ছায়া হয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে তারই করা ৫৫ রান ম্যাচের সর্বোচ্চ। তাতেই ভারতকে ১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য দিয়েও ৩০ রানের জয় এসেছে। আর এই ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বাভুমা গড়েছেন বিশ্ব রেকর্ড।
২০২৩ সালে ডিন এলগারের কাছ থেকে টেস্টে নেতৃত্ব পান বাভুমা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে নতুন অধ্যায় শুরু। তারপর থেকে সবশেষ ভারতের বিপক্ষে অধিনায়কত্ব করলেন ১১ টেস্টে। এরই মধ্যে গত জুনে লর্ডসে এসেছে বিরাট সাফল্য। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ‘মেস’ জেতে তারা।
এই ১১ টেস্টে অধিনায়ক বাভুমা অনন্য কীর্তি গড়েছেন। একটিও ম্যাচ হারেননি তিনি, ১০টি জিতেছেন, অন্যটি ড্র- ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে। আর অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ১১ ম্যাচের হিসাবে এমন সাফল্য নেই আর কারো।
গত জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই জয়টা ছিল অধিনায়ক হিসেবে দশম টেস্টে টেম্বা বাভুমার নবম জয়। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ১০ ম্যাচে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ডে ইংল্যান্ডের পার্সি চ্যাপম্যানের পাশে বসেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। তবে চ্যাপম্যান অন্য ম্যাচটি হারলেও বাভুমা প্রথম ১০ ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন।
১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে শুরুর ১১ ম্যাচের ১০টি জিতেছেন বাভুমা। কলকাতা টেস্ট জয়ে বিশ্ব রেকর্ডও ধরা দিয়েছে তার কাছে। কোনো ম্যাচ না হেরে ১০ টেস্ট জেতা দ্রুততম খেলোয়াড় তিনি।
কোনো টেস্ট না হেরে ১০টি জয় পাওয়া দ্বিতীয় অধিনায়ক তিনি। আগে এই কীর্তি গড়া ইংল্যান্ডের অধিনায়ক মাইক ব্রিয়ারলি অবশ্য দশম জয়টি পেয়েছিলেন ১৫তম ম্যাচে।
অধিনায়ক হিসেবে কোনো টেস্ট না হেরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার তালিকায় এখন সবার উপরে আছেন বাভুমা। ১৯০২ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত কোনো ম্যাচ না হেরে আটটি জিতে এই তালিকায় দুই নম্বরে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ারউইক আর্মস্ট্রং। এই সময়ে তিনি ১০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে বাকি দুটি ড্র করেছিলেন।
এফএইচএম/