বাফুফে-বিজিএমইএ মেলবন্ধন

পোশাক শিল্পে রপ্তানিতে বাংলাদেশের খ্যাতি বিশ্ব জোড়া। গার্মেন্টস পোশাক শিল্প রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। আজ (রোববার) বিকেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে এক বছরের জন্য। এই সময়ের মধ্যে দুই পক্ষ একে অন্যকে পারস্পরিক সহায়তা করবে।
বিজিএমইএ ভবনে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘এটা আমাদের একটা মাইলফলক দিন ৷ বিজিএমইএর মতো ট্রেড বডির সঙ্গে বাফুফের সমঝোতা স্মারক হচ্ছে। ফুটবল ফেডারেশন ও বিজিএমইএ একসঙ্গে বাংলাদেশকে বিশ্বে প্রতিনিধিত্ব করবে। আমাদের মধ্যে কোনো ভিন্নতা নেই।’
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান বাবু বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বলতে পোশাক শিল্প। আশা করব পোশাকের পাশাপাশি ফুটবলও বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর হবে। এজন্য বিজিএমইএ ফুটবল ফেডারেশনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে আমরাও ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করব।’
সত্তর-আশির দশকে ফুটবল ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। হামজা-সামিত আসার পর ফুটবলের উন্মাদনা আবার ফিরে এসেছে। বিজিএমইএ সভাপতি জেলা পর্যায়ে ফুটবল জোরদারের অনুরোধ জানান বাফুফের কাছে, ‘জেলা পর্যায়ে সম্প্রতি তিনটি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেছি। তিন জায়গায় অবকাঠামো ও আরও কিছু বিষয়ে ঘাটতি মনে হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে বাফুফের টেকনিক্যাল সাপোর্টের মাধ্যমে উন্নতি করতে হবে ধীরে ধীরে।’
বিজিএমইএ নিজেরা ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে৷ বিজিএমইএ'র সঙ্গে অনেক বড় জনগোষ্ঠী জড়িত তাদের টেকনিক্যাল সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিলেন ফেডারেশনের সভাপতি, ‘বিজিএমইএতে আমরা কোচেস, রেফারিং ট্রেনিং করাব। যাতে তারা ফুটবলে আরও সম্পৃক্ত হতে পারে।’ বিজিএমইএর মাধ্যমে ফুটবলের প্রাপ্তি সম্পর্কে সভাপতি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এমওইউ হয়েছে। অনেক কিছু পারস্পরিক আলোচনায় করা সম্ভব। প্রাথমিকভাবে গ্রাসরুট লেভেলে বিজিএমইএর মাধ্যমে কাজ করা হবে। ফুটবলে জার্সি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিজিএমইএর মাধ্যমে জার্সিতে একটা ইতিবাচক সাপোর্ট সম্ভব।’
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কিট স্পন্সর দৌড়। তারাই মূলত জার্সি তৈরি করে থাকে। বিজিএমইএর অনেক প্রতিষ্ঠানের জার্সি বিশ্ব বাজারে সমাদৃত। দৌড় ও বিজিএমইএ জার্সি নিয়ে কোনো কনফ্লিক্টের সুযোগ দেখছেন না বাফুফে সহ-সভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া গুরুত্বপূর্ণ খেলায় বিজিএমইএ পণ্য বাফুফে ব্র্যান্ডিং করবে। আবার বিজিএমইএ দেশে কিংবা বিদেশে ফুটবলকে ব্র্যান্ডিং করবে। এর পাশাপাশি বিজিএমইএর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবলে টুর্নামেন্ট করবে ফেডারেশন। আর্থিকভাবেও বিজিএমইএ বাফুফেকে সহায়তা পাবে খানিকটা।’
বিজিএমইএ পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার উদ্যোগ নেন প্রথমে। বাফুফে কম্পিটিশন কমিটির সদস্য তাজওয়ার আউয়াল পরবর্তীতে সমন্বয় করেন। আজ বিজিএমইএ ভবনে দুই পক্ষের নির্বাহী কমিটি ও পরিচালকদের উপস্থিততিতে চুক্তি স্বাক্ষর হয়৷ বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সাথে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) পার্টনার হিসেবে যুক্ত।
এজেড/এফএইচএম