কলকাতার যে পেসারকে না পেয়ে মন খারাপ লখনৌ মালিকের

দল প্রায় তৈরিই ছিল। গত মঙ্গলবার আবুধাবিতে আইপিএলের নিলামে দলের বোলিং গভীরতা আরও বাড়িয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। দুই শক্তিশালী বোলারের পাশাপাশি এক অলরাউন্ডারকেও কিনেছে তারা। নিলাম টেবিল থেকে ৬ জন ক্রিকেটার কিনতে খরচ হয়েছে ১৮ কোটি ৪০ লাখ রুপি। তবু এক ক্রিকেটারকে দলে ভেড়াতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কার।
নিলাম থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের এক বিদেশি পেসারকে দলে ভেড়াতে চেয়েছিল তারা। এর জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে বিড করলেও অর্থসংকটে শেষ পর্যন্ত পাওয়া হয়নি তাকে। তাতেই মন খারাপ লখনৌ মালিকের।
নিলামের প্রথম সেটেই ২ কোটি টাকায় শ্রীলঙ্কার লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে দলে নেয় লখনৌ। রবি বিষ্ণুয়ের বিকল্প হিসেবেই তাকে নেওয়া হয়েছে। গত দুই মৌসুমে প্রত্যাশামতো পারফর্ম করতে না পারায় জায়গা হারিয়েছেন রবি। পাশাপাশি পেস বিভাগে শক্তি বাড়াতে ২ কোটি টাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার গতিময় বোলার এনরিখ নর্কিয়াকেও দলে টেনেছে লখনৌ।
কলকাতা নাইট রাইডার্স ছেড়ে দেওয়ায় সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে তারা। আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৪৮ ম্যাচে ৬১ উইকেট রয়েছে নর্কিয়ার। উইকেটকিপার-ব্যাটার মুকুল চৌধুরীকে দলে নিতে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচ করেছে লখনৌ। দলে আগে থেকেই ঋষভ পন্ত থাকায় এই সিদ্ধান্তে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।

নিলামের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার জশ ইংলিসকে দলে ভেড়াতে লখনৌ খরচ করেছে ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। তবে নিলামের মাঝপথে সবচেয়ে বেশি আলোচনা তৈরি হয় মাথিশা পাথিরানাকে ঘিরে। শ্রীলঙ্কান এই পেসারকে শেষ পর্যন্ত ১৮ কোটি টাকায় দলে নিয়েছে কলকাতা। পাথিরানাকে না পাওয়ার হতাশা গোপন করেননি গোয়েঙ্কা।
লখনৌ মালিক বলেন, ‘আমাদের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক খুব করে চেয়েছিল পাথিরানাকে দলে নিতে। আমিও চেয়েছিলাম। আমরা ১৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লড়াই করেছি। ওটাই ছিল আমাদের শেষ সীমা। তার বেশি অর্থ ছিল না। ফলে পাথিরানাকে আমরা শেষ পর্যন্ত পাইনি।’
তবে কম দামে নরকিয়াকে পেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন গোয়েঙ্কা। তাঁর ভাষায়, ‘নর্কিয়ার নাম পরে আসায় তাকে বেস প্রাইসে পেয়ে আমরা অবাক হয়েছি। আমাদের নিলামের কৌশল পরিকল্পনা অনুযায়ীই ছিল। আমরা একজন আন্তর্জাতিক মানের লেগস্পিনার ও একজন ফাস্ট বোলার চেয়েছিলাম। হাসারাঙ্গা ও নর্কিয়াকে পেয়ে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।’
সবমিলিয়ে পাথিরানাকে না পাওয়ার আক্ষেপ থাকলেও বোলিং বিভাগে গভীরতা এনে নিলামের কাজ সফলভাবেই সেরেছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস।
এফআই/