এ যেন আত্মঘাতী গোলের মহোৎসব, ১৫ ইউরোর সমান গোল এবারের আসরে!

এবারের ইউরোতে হচ্ছে টা কী? আত্মঘাতী গোল যেন পরিণত হয়েছে নিত্যদিনের বিষয়ে। এতটাই যে, শেষ ১৫ ইউরো মিলিয়ে যত গোল, তার সমান হয়েছে এই আসরে!
সর্বশেষ আত্মঘাতী গোলটা ইউরো ২০২১ দেখেছে স্পেন-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে। মিডফিল্ডার পেদ্রি গঞ্জালেস মাঝমাঠ থেকে ব্যাকপাস দিয়েছিলেন গোলরক্ষক উনাই সিমনকে। স্প্যানিশ গোলরক্ষক কী ভেবে যেন, শেষ মুহূর্তে বল থেকে চোখ সরিয়ে নিলেন, পাস দিতে চেয়েছিলেন সামনে থাকা ডিফেন্ডারকে। বলটা সিমনকে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় স্পেনের জালে।
শুরুতে সিমনের খাতায় গোলটাকে দেখালেও পরে সংশোধন করে তা দেওয়া হয় পেদ্রির ঘাড়ে। তাতে অনাকাঙ্ক্ষিত একটা রেকর্ডও চলে এসেছে তার কাঁধে। ইউরোর ইতিহাসে এর আগে ১৭টি আত্মঘাতী গোল হয়েছে, যার একটিও হয়নি বক্সের বাইরে থেকে। প্রায় ৪৫ মিটার দূর থেকে ‘গোল’টা হওয়ায় এটি ঢুকে গেছে উয়েফা ইউরোর রেকর্ডের খাতায়।
পেদ্রির এই আত্মঘাতী গোলে চলতি ইউরোয় এই সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ৯-এ। এটা যে ইউরো রেকর্ড, তা কি আর বলে দিতে হবে? তবে যে তথ্যটা আপনাকে চমকে দিতে পারে তা হলো আগের রেকর্ডের সঙ্গে এবারের ব্যবধান। এর আগে ইউরোয় সর্বোচ্চ আত্মঘাতী গোলের রেকর্ড ছিল ৩টি। তার সঙ্গে এবারের আসরের ব্যবধানটা ৬ গোলের।
আত্মঘাতী গোলের রেকর্ড আরও হয়েছে এই ইউরোয়। এক ম্যাচে দুইবার বল নিজেদের জালে জড়ানোর রেকর্ড ছিল না কোনো দলের। এবার দুটো ম্যাচ এমন কিছু দেখে ফেলেছে এখনই।
সব মিলিয়ে হয়েছে ৯ টি আত্মঘাতী গোল। এতই যে, আগের সব আসর মিলিয়ে যত গোল হয়েছে, এবার গোল হয়েছে তারই সমান।
১৯৭৬ সালে চেকোস্লোভাকিয়ার অ্যান্তন অন্দ্রোস খুলেছিলেন এই খাতা। এরপর আরেকটা আত্মঘাতী গোল দেখতে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০ বছর। ১৯৯৬ ইউরোয় বুলগেরিয়ার ল্যুবোস্লাভ পেনেভ করেন ‘গোলটি’। এরপর ২০০০ আর ২০১২ আসরে একটি, আর ২০০৪ আসরে দুটো ছিল আত্মঘাতী গোল।
রেকর্ড ভাঙে ২০১৬ ইউরো, সেবার আত্মঘাতী গোল হয় তিনটি। সেই রেকর্ড এবার ভেঙেচুড়ে গেছে ১২ ম্যাচেই। চলতি ইউরোয় ম্যাচ আরও বাকি ৯ ম্যাচ, তাতে এই রেকর্ড কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তাই ভাবনার বিষয়।
এনইউ/এটি