‘ফুটবল ঘরে ফিরছে’

ইতিহাস তো বটেই। সেই ১৯৬৬ বিশ্বকাপের নকআউটে জার্মানিকে হারানোর স্বাদ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর পেল গতকাল। দীর্ঘ এক খরা কাটানো এমন এক জয় তো উদযাপন করার মতোই উপলক্ষ্য! সেটা হচ্ছেও। ইংল্যান্ডের রাস্তায় রীতিমতো বড়দিনের রঙ লেগেছে। স্থানীয় পত্রিকাগুলোও বড় করেই প্রচার করেছে বিষয়টি।
ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের প্রচ্ছদে স্থান পেয়েছে এ জয়। ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিতের পর উচ্ছ্বাসের ছবি হয়েছে প্রথম পাতার শীর্ষ ছবি। শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘স্বপ্ন থেকে অদ্ভুত নতুন আলোয় আসার মতো বিষয়’।

খেলার পাতার শীর্ষে যে থাকবে এই ম্যাচেরই গল্প, তা বলাই বাহুল্য। সেখানের শীর্ষ সংবাদে বলা হয়েছে, ‘এটা ঘরে ফিরছে’। ১৯৬৬ সালে এসেছিল জার্মানির বিপক্ষে দলটির সর্বশেষ নকআউট জয়টি। সেবার ফাইনালে জিওফ হার্স্টের গোলে ফুটবল গ্রীষ্ম এসেছিল ইংল্যান্ডে। ইউরো ২০২০-এ জার্মানিকে নকআউটে হারানো গেছে, এরপর এবার দলের লক্ষ্য, দেশটির আপামর জনতার আশা শিরোপায়। শিরোনামে সেটাই ইঙ্গিত করেছে গার্ডিয়ান।

দ্য টেলিগ্রাফও একে স্থান দিয়েছে প্রচ্ছদেই। বলছে, ‘অবশেষে মিলল উদযাপনের উপলক্ষ’।

জার্মানির বিপক্ষে দীর্ঘ হতাশার পর এসেছে ইংল্যান্ডের এ জয়। এরপর একে ডেইলি মিরর দেখছে, ‘স্বপ্ন দেখার সময়’ হিসেবে।

এমন জয় ইংল্যান্ডের জন্য নিশ্চিতভাবেই ‘স্বপ্ন দেখছি না তো!’ ভেবে গায়ে চিমটি কেটে দেখার মতো বিষয়। এক্সপ্রেস বলছে সেটাই, ‘না, এটা কোনো স্বপ্ন ছিল না! আমরা আসলেই জার্মানিকে হারিয়ে দিয়েছি!’

দ্য সান আবার বিষয়টার প্রচার দিয়েছে কিছুটা কাব্যিক ঢঙে। লিখেছে, ‘ফিফটি ফাইভ ইয়ার্স অফ হার্ট, নেভার স্টপড আস রাহিমিং’। সেখানে ‘রাহিমিং’ দিয়ে আদতে বুঝানো হয়েছে ‘ড্রিমিং’, যে স্বপ্ন ৫৫ বছরের আঘাতেও দেখা থামায়নি ইংলিশরা।

মেট্রো আবার একে দেখছে জুজু কেটে যাওয়া হিসেবে। লিখেছে, ‘অবশেষে জুজু কেটে গেল। হ্যাঁ, এটা সত্যিই হয়েছে। ইংল্যান্ড ৫৫ বছরের অভিশাপ থেকে মুক্ত’।

এ তো গেল পত্রিকার প্রতিক্রিয়া। জনগনের? ইংল্যান্ডের এ জয়ে যেন উৎসব নেমেছে দেশটির রাস্তায় রাস্তায়। নেচে-কুঁদে উদযাপন করছে ইংল্যান্ডের এই জয়। এতো কিছুর পর এখন শিরোপাটা ‘ঘরে’ ফিরলেই হয় হ্যারি কেইনদের।
এনইউ/এটি