টেস্টের জন্য আলাদা পরিকল্পনা বিসিবির

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটে বেশ সমীহ জাগানিয়া দলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। তবে টেস্ট ক্রিকেটের দৈন্যদশা কিছুতেই কাটছে না। সদ্য সমাপ্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে ৯ দলের মধ্যে একদম তলানিতে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৭ ম্যাচ খেলে জয়ের মুখ দেখা হয়নি।
টেস্ট ক্রিকেটকে গতি দিতে এবার আলাদা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যার কার্যক্রম শুরু করার ভাবনা চলতি বছর থেকেই। আজ (মঙ্গলবার) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমন কথায় জানালেন বোর্ডের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
এ প্রসঙ্গে নান্নু বলেন, ‘আমরা লঙ্গার ভার্সন নিয়ে একটা চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা করেছি। এই সেপ্টেম্বর থেকে...কোভিডটা যদি একটু স্বাভাবিক হয় তাহলে আগামী মৌসুম থেকে ভালো একটা শুরু করতে চাই। লঙ্গার ভার্সনটা এমনভাবে সাজাতে চাই যেটা আগামী দুই বছরের মধ্যে টেস্টটা ভালো অবস্থানে যাবে। আমাদের নির্বাচক প্যানেল থেকে এতদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা প্রস্তাব দিয়েছে। ওভাবে আগাতে পারলে, লাল বলের ক্রিকেটটাকে ভালো অবস্থানে নিতে পারব।’
সঙ্গে যোগ করেন নান্নু, ‘এটা আমরা কয়েকদিনের মধ্যে বোর্ডে জমা দেব। অনেকগুলো খেলোয়াড় এই লঙ্গার ভার্সনে যুক্ত হবে। এটা হলে লাল বলের ক্রিকেটের ভিত্তিটা অনেক শক্ত হবে।’
টেস্ট ফরম্যাটে হতশ্রী অবস্থা হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে লাল বলে টুর্নামেন্ট হয় না দীর্ঘদিন। করোনাভাইরাসের কারণে থমকে গেছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের খেলা। চলতি বছর এনসিএল শুরু হলেও সেটি শেষ করা যায়নি প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের কারণে। যার ফলে কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুয়ে সফরের আগেও লাল বলের প্রস্তুতির সুযোগ মেলেনি।
নান্নুর কথায় স্পষ্ট, এবার। ঘরোয়া ক্রিকেটে লাল বলকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। নান্নু বললেল, ‘যে কোনো দেশের লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেটের সংস্করণ যদি শক্ত না হয়। তাহলে তো আপনি চ্যাম্পিয়নশিপে যেতে পারবেন না। খেলোয়াড় বেশি থাকতে হবে। সবদিক দিয়ে স্বাবলম্বী হতে হবে। এই জায়গায় আমাদের আরেকটু নজর দিতে হবে। এটাকে ভালো জায়গায় দাঁড় করতে পারলে বাকি ফরম্যাটগুলোও ভালো হবে।’
টিআইএস/এটি/এমএইচ