গালি দিয়েছিলেন মুজারাবানি, তাই তেড়ে যান তাসকিন

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান একমাত্র টেস্টে ভিন্ন এক তাসকিন আহমেদকে দেখা গেল। মাঠের বাইরে শান্তশিষ্ট তাসকিন। পেসার হলেও শারীরিক অঙ্গভঙ্গিতে সেটি বোঝান না। উইকেট উদযাপনেও করেন না বুনো উল্লাস। তবে হারারে টেস্টের দ্বিতীয় দিন জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির চোখে চোখ রেখে রীতিমতো তর্ক জড়ালেন। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে জানালেন এর কারণ।
তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘ওরা সব পেস বোলাররা এসে আমাকে আক্রমণ করছিল, বাউন্সার মারছিল, ভালো জায়গায় বল করছিল, আউট করার চেষ্টা করছিল। আমি মাশাআল্লাহ ভালোই সামলাচ্ছিলাম। বিরক্ত হয়ে আমাকে বেশ কয়েকবার গালিও দিয়েছে। তিন নম্বরবার যখন গালি দিয়েছিল, তখন আমি তেড়ে গিয়েছিলাম একটু, কেন গালি দিচ্ছ, বল নিয়ে পারলে কিছু করো। এটাই আসলে, তেমন কিছু না।’
ঘটনার সূত্রপাত বাংলাদেশের ইনিংসের ৮৫তম ওভারে। মুজারাবানি বাউন্সার ছোড়া চতুর্থ বলটি না খেলে ছেড়ে দেন ব্যাটসম্যান তাসকিন। তারপর হাত দিয়ে কিছুটা নাচের মতো ভঙ্গি করেন বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটার। বিষয়টা ভালো লাগেনি মুজারাবানির। কারণ আগের বলেই তাসকিন দৃষ্টিনন্দন অফ ড্রাইভে বাউন্ডারি মারেন।
তাসকিনের সেই নাচ পছন্দ হলো না মুজারাবানির! তিনি এগিয়ে আসলেন তাসকিনের দিকে। তারপর লেগে গেল ঝগড়া। হেলমেট একদম মুজারাবানির মুখে লাগিয়ে তাকে শাসিয়ে দিলেন তাসকিন। যা দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে যেমন লড়েছেন তাসকিন, তেমনি স্বাগতিক বোলারদের ছোড়া বলও শাসন করেন তিনি। পেসার তকমা ভুলে পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান বনে যান এই তরুণ ক্রিকেটার। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ফিফটির স্বাদ পান তাসকিন। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৭৫ রানের দৃষ্টিনন্দন এক ইনিংস।
নিজের ব্যাটিংশৈলীকে এভাবে ব্যাখ্যা করেন তাসকিন, ‘সত্যি বলতে সবসময় বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং অনুশীলন করা হয়। কিন্তু আজকে মাথায় ছিল দলের জন্য আমার কিছু করতে হবে, যেহেতু রিয়াদ ভাই ছিল। টেল এন্ডার হিসেবে মূল লক্ষ্যই ছিল তাকে সাপোর্ট দেওয়া। সবসময় আমাকে কথা বলে বলে খেলাচ্ছিল। মূল লক্ষ্য ছিল স্ট্যাম্পের বল যেন দেখে খেলি, বারবার রিয়াদ ভাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল।’
তাসকিন সঙ্গে আরও জানালেন, ‘আমি আমার জোনের বল যখন পেয়েছি মারার চেষ্টা করেছি, বাউন্ডারি হয়েছে। তবে দলের জন্যই খেলার চেষ্টা করেছি।’
টিআইএস