গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেই সেরা মহিলা রেফারি

ঘরোয়া নারী ফুটবলে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বসুন্ধরা কিংস ও আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাব। বাঁশি বাজাচ্ছেন একজন তরুণ পুরুষ রেফারি। নারী ফুটবলে অধিকাংশ ম্যাচ নারী রেফারি পরিচালনা করলেও আজকের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে অপেক্ষাকৃত অনভিজ্ঞ ও তরুণ রেফারির হাতে বাঁশি। রেফারি পুরুষ থাকলেও সহকারি ছিলেন দুই নারী।
নারী ফুটবলে উন্নতির মতো রেফারিং ক্ষেত্রেও উন্নতি হচ্ছে। স্বাধীনতার পর গত বছরই প্রথম ফিফা রেফারি ও সহকারি রেফারি পেয়েছে বাংলাদেশ। ফিফা রেফারি জয়া চাকমা উচ্চতর শিক্ষার জন্য ভারতের বেনারসে রয়েছেন (মার্চে ছুটিতে এসে কিছু ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন)। সহকারি ফিফা রেফারি সালমা ইসলাম মনিই বেশি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। আজ মঙ্গলবার কিংস ও আতাউর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি ছিলেন না।
বাফুফে রেফারিজ বিভাগে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, গত লেগে এই দুই দল ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন সালমা। সেই ম্যাচে সালমার রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন উঠিয়েছিল আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাব। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আজকের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রাখেনি বাফুফের রেফারিজ বিভাগ।
গত লেগে আরেকটি ক্লাবের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সালমাকে এক রাউন্ড ম্যাচ পরিচালনা থেকে বিরতও রেখেছিল বাফুফের রেফারিজ বিভাগ। একটি ক্লাবের অভিযোগের ভিত্তিতে একবার এক রাউন্ড বিরত রাখা আবার আরেক ক্লাবের অভিযোগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেরা রেফারিকে অনুপস্থিত রেখে নারী রেফারিং উন্নতির বড় অন্তরায়ের উদাহরণ। সালমারা এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সুযোগ না পেলে নিজেকে আরও পরিশীলিত করার সুযোগ পাবেন না।
ক্লাবগুলোর চাপে রেফারিজ বিভাগ এমন সিদ্ধান্ত নেয়। রেফারিজ কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরি রেফারিজ কমিটিকে অনেক সময় দিলেও নতুন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেভাবে সময় দিতে পারেন না। রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যানের নারী রেফারিংয়ের এই বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এজেড/এটি