এখনো যদি-কিন্তুর বেড়াজালে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর

বড় দলগুলো বাংলাদেশে আসতে চাইলেই যেন সংকটাপন্ন অবস্থা তৈরি হয়। বিশাল চাহিদার তালিকা ধরিয়ে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হাতে। সেগুলো পূরণ করার পরেও চলে টালবাহানা। অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরের সময় ঘনিয়ে আসছে। তবে বিসিবিকে এখনো পাকা কথা দেয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তারা যে সফরে আসবে না, এমন কথাও হয়নি এখনো।
প্রস্তাবিত সূচিতে আগামী ২৯ জুলাই বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে অজিদের। সর্বসাকুল্য ১০ দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। এর মধ্যে আছে কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া। তবে যতদূর জানা গেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ৩ দিনের কোয়ারেন্টাইন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। সে প্রস্তাবে অবশ্য সম্মতি নেই তাদের। তার আগেই অনুশীলনে নামতে চায়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ঊর্ধ্বতন এক কর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে। আমরা এখানকার তথ্য তাদেরকে জানাচ্ছি। তারা তাদের দাবিদাওয়াগুলো জানাচ্ছে। এই প্রক্রিয়া অনেকদিন ধরেই চলছে। তবে তারা এখনো নির্দিষ্ট কিছুই জানায়নি। শীঘ্রই সবকিছু চূড়ান্ত হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার যে দলটি বাংলাদেশে আসবে, সে দলটি এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আছে। সব ঠিক থাকলে সেখান থেকে বিশেষ বিমানে চেপে ঢাকায় আসবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যে শর্ত দিয়েছে, তার সবই মেনে নিয়েছে বিসিবি। নির্দিষ্ট একটি ভেন্যুতে পাঁচটি ম্যাচ, ইমিগ্রেশন না করে সরাসরি হোটেলে ওঠা, তাদের জন্য নির্দিষ্ট হোটেলের বন্দোবস্ত, যেখানে বাইরের অতিথি প্রবেশ করতে পারবে না। সিরিজ শুরুর আগে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের।
সিরিজের সময় ঘনিয়ে এলেও চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ হচ্ছে না অজিদের সম্মতির কারণে। এখনো সবুজ সংকেত পায়নি বিসিবি। বোর্ড সূত্র থেকে জানা যায়, ‘সবইকিছুই ইতিবাচক চলছে। তাদের আসার আর সপ্তাহ দুয়েকের মতো বাকি। দ্রুতই সমাধান হবে। তারা না আসতে চাইলে সেটিও ইতোমধ্যে আমাদের জানিয়ে দিত। তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’
তবে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ঊর্ধ্বগতির কারণে পুরো বিষয়টিও আর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হাতে নেই। সফরের আগে দেশটির সরকারের বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন। সে অনুমতি ঝুলে আছে দূতাবাসের হাতে। ঢাকা থেকে অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনের রিপোর্টর উপরেই বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করছে।
টিআইএস/এনইউ