স্ত্রী’র সমর্থনে খারাপ সময় কাটিয়ে উঠেছেন লিটন

২০২০ মৌসুমে যে বার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় রাজশাহী রয়্যালস, সে আসরে দলটির হয়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করেন লিটন দাস। ১২ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে ৩৮.৩৬ গড়ে ও ১৩৯.৭৩ স্ট্রাইকরেটে করেন ৪২২ রান। তখন এক প্রেস কনফারেন্সে এসে লিটন জানান, ‘খুব কম বয়সে বিয়ে করে ফেলেছি। বিয়েটাই আমাকে আরও পরিণত করেছে। জানি না কীভাবে। সেটা মাঠে হোক কিংবা মাঠের বাইরে সবকিছুতেই বেড়েছে।’
এরপর ব্যাট হাতে ছন্দে ছিলেন লিটন। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে দুটো সেঞ্চুরিও হাঁকান তিনি। খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৭৬ রানের ইনিংসটি। এরপর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মাঠে খেলা ফিরলে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে নিজেকে হারিয়ে খোঁজেন লিটন। আজ (শুক্রবার) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জানালেন, এই খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে স্ত্রী দেবশ্রী বিশ্বাস সঞ্চিতার সাহায্যর পেয়েছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় লিটন বলেন, ‘কোভিডের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা একটু কঠিন হয়ে গেছে কারণ মাথায় অনেক চিন্তা ছিল যে পারফর্ম করতে হবে পরিস্থিতিও কঠিন ছিল। এভাবে দেখতে দেখতে আটটা ইনিংস গেছে। চেষ্টা করেছি যত ইনিংসই খেলিনা কেন, যেন ভালো করতে পারি, দলকে কিছু দিতে পারি। পাশাপাশি বড়রা সমর্থন দিয়ে গেছেন, পরিবার বিশেষ করে ওয়াইফের কাছ থেকে সমর্থন এসেছে।’
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। সে সময় বাকিদের মতো ঘরবন্দি জীবন কেটেছে লিটনেরও। সে মানসিক অবসান পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হওয়ার পরে সেটিই জানালেন লিটন।
লিটনের ভাষায়, ‘আমার চাওয়া তো সবসময়ই রান করা। শুধু আমি না প্রতিটা ব্যাটসম্যানই চাইবে যখনই ক্রিজে যায় রান করবে। কিন্তু কোভিডের আগে আমি একটা ভাল ধারাবাহিকতা পেয়েছিলাম, ওই সময় কোভিড না হয়ে যদি স্বাভাবিক খেলা চলত, তাহলে সুযোগ ছিল ভাল পারফর্ম করার, কারণ ওই সময় আমার পিক টাইম চলছিল।
সঙ্গে যোগ করেন লিটন, ‘শেষ ওয়ানডেতে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) ইনজুরির কারণে খেলতে পারিনি। ডিপিএলে ১১ ম্যাচের মতো বাইরেই ছিলাম। পরের ৫ ম্যাচে খেলে চেষ্টা করছিলাম ইনজুরির পরের রিদম ফিরিয়ে আনার। এরপর এখানে তো টেস্ট ক্রিকেট খেললাম, পারফর্ম করেছি। মনে ছিল যে উইকেটে দাঁড়িয়ে যেতে পারলে বড় স্কোর করা যাবে। তাছাড়া দলের মিটিংয়ে বলা হচ্ছিল শুরুর ৫ জনের কেউ ৪০ ওভার খেললে বড় স্কোর হবে। ওই জিনিসটাই মাথায় ছিল, যেন কমপক্ষে ৩০ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারি।’
টিআইএস/এনইউ