সাইফউদ্দিনে মুগ্ধ সাকিব

অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসাবে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন যখন ক্রিজে এলেন, তখনও পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময়ই দিক হারিয়েছে টাইগাররা। বড় শট খেলে চাপ কমানোর চেষ্টায় হাতছাড়া করেছে জয়। এদিন এমন কিছু হলো না সাকিবের জন্য। তরুণ সতীর্থকে নিয়ে অবিচ্ছেদ্য ৬৯ রানের চমৎকার এক জুটিতে দলকে নিয়ে গেলেন জয়ের বন্দরে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রোববার সাকিবের অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংসের উপর ভর করেই ৩ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজটিও জিতে নেয় টাইগাররা। ম্যাচ শেষে সাইফউদ্দিনের অপরাজিত ২৮ রানের ইনিংসটিকে বাহবা দিলেন সাকিব। জয়ের কৃতিত্বে ভাগ দিলেন সাইফউদ্দিনকে।
ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, ‘উইকেট একটু ভিন্ন ছিল। বল ব্যাটে আসছিল না তাই রান করার জন্য শট খেলতে হত। সেই জায়গায় অনেক মানিয়ে নিতে হয়েছে ব্যাটসম্যান হিসেবে। যেভাবে দরকার ছিল মানিয়ে নিতে পেরেছি বলে খুশি। উইকেটে সময় নিয়েছি। নিয়মিত উইকেট পড়ায় তেমন কিছু করতেও পারতাম না। সাইফউদ্দিনকে কৃতিত্ব দিতে হবে। যেভাবে ও খেলাটা শেষ করতে পেরেছে।’
জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৪১ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ। ৫০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ১৭৩ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। এদিন সতীর্থরা আসা-যাওয়া মিছিলে যোগ দিলেও সাকিব ছিলেন ব্যতিক্রম। স্রোতের উল্টোদিকে গিয়ে লড়াই চালিয়ে যান তিনি। ক্রিজে দাঁড়িয়ে সাকিব চিন্তা করেছেন, কীভাবে ৪৫ ওভার কাটিয়ে দেওয়া যায়।
সাকিব বলছিলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় একটা কথাই বলছিলাম- আমরা ব্যাটসম্যানরা ৪৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করলে দেখতে পারব কোথায় আছি। এরপর ১৫-২০ বা ৩০ রান ২-৩ ওভারেও করা সম্ভব এখনকার ওয়ানডে ক্রিকেটে।’
আরও জানালেন সাকিব, ‘সবসময় লক্ষ্য ছিল খেলা যতটা ক্লোজ করতে পারি, তারপর জয়ের ব্যাপারে দেখব। তখনও ভাবিনি আমাদের ৬০-৭০ রান লাগে এবং সেটা দ্রুত তাড়া করতে হবে। সবসময় জানতাম, এখনকার ওয়ানডে ক্রিকেটে এই পরিস্থিতি থেকে রান তাড়া করা খুবই সম্ভব।’
টিআইএস/এটি