শ্রীলঙ্কায় সিরিজ, তাই ফিক্সিং নিয়ে সতর্ক আইসিসি

ক্রিকেট আর দুর্নীতি যেন ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে। স্পট ফিক্সিং, ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে বারবার কুলষিত হয় ব্যাট-বলের লড়াই। করোনা মহামারির মধ্যে ফিক্সিং ইস্যুতে বাড়তি ভাবনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার। এজন্য শ্রীলঙ্কায় খেলতে যাওয়া ইংল্যান্ড দলকে সতর্কবার্তা দিয়েছে আইসিসি।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করছে ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল। আগামী ১৪ জানুয়ারি গলে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে ইংলিশরা। সিরিজটি শ্রীলঙ্কার মাটিতে, তাই বাড়তি ভাবনা আইসিসির। কারণ, ফিক্সিং কাণ্ডে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের পর তাদের একাধিক ক্রিকেটার দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।
ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ নুয়ান জয়সা। দিলহারা লুকোহেত্তিগের ভাগ্যেও সাজা জুটেছে। তথ্য প্রকাশে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার সনাথ জয়াসুরিয়া। এছাড়াও গতবছর দেশটির আরও তিন খেলোয়াড়কে চিহ্নিত করে সাজা দিয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড।
এজন্য শ্রীলঙ্কায় খেলতে যাওয়া ইংল্যান্ড দলকে বাড়তি সতর্কবার্তা দিয়েছে আইসিসি। একটি ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, ‘সাধারণত যেকোনো সিরিজের আগেই আমরা ক্রিকেটারদের বলে দেই কী করা যাবে আর বা কী করা যাবে না। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় খেলা হলে আমরা একটু বাড়তি সতর্ক থাকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় গত কয়েক মাসে ঠিক কী ধরনের ম্যাচ ফিক্সিং হয়েছে, কোথা থেকে জুয়াড়িরা কাজ চালায়, কীভাবে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আসতে পারে। যারা যারা ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিতে পারে, তাদের ছবি আমরা দলের সবাইকে দিয়ে দেই। শ্রীলঙ্কায় এখন একটা ভয় তৈরি হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কায় ফিক্সিং এখন ফৌজদারি অপরাধ। ধরা পড়লে জেল হবেই। জুয়াড়িদের পক্ষে এই ঝুঁকি নেওয়াটা এখন কঠিন হয়ে গেছে। তবে কয়েক বছর আগেও আমরা অধিকাংশ অভিযোগ পেতাম শ্রীলঙ্কা থেকে।’
টিআইএস/এমএইচ