রামোসদের দেশে আলোচনায় বাংলাদেশ ফুটবলও!

সে দেশের ফুটবল মাতিয়েছেন এক সময় রাউল, জাভি, ইনিয়েস্তারা; এখন মাতাচ্ছেন যেমন সার্জিও রামোস। সঙ্গে আছেন-ছিলেন লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের মতো বিশ্বসেরারাও। সেই স্পেনেই কিনা এখন আলোচনায় বাংলাদেশের ফুটবল। বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজনের কল্যাণে সেটাই সত্যি হয়েছে সম্প্রতি।
স্প্যানিশ কোচ অস্কার বাংলাদেশে আছেন আজ তিন বছর ধরে। ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে আসার পর থেকেই আছেন বসুন্ধরা কিংসের দায়িত্বে। এরপর থেকে পাঁচটি শিরোপায় লড়ে জিতেছেন চারটিতেই। কেবল প্রথমবারের ফেডারেশন কাপটাই হাতছাড়া হয়েছে এর মধ্যে। এরপর থেকেই বসুন্ধরা আর অস্কার যেন দিগ্বিজয়ী আলেক্সান্ডার! যার সর্বশেষ নজিরটা দেখেছে সাইফ স্পোর্টিং। রাউল বেসেরার একমাত্র গোলে দারুণ খেলেও হার কপালে জুটেছে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা দলটির। তাতে বসুন্ধরা মেতেছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে।
বিদেশ বিভূঁইয়ে স্বদেশীর এমন কীর্তির পর স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমও নড়েচড়ে বসেছে। মার্কা আর এএসের মতো দুই শীর্ষস্থানীয় স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম রীতিমতো ‘বাংলাদেশ ফুটবলের রাজা’ আখ্যা দিয়ে বসেছে বসুন্ধরার স্প্যানিশ এই কোচকে।
মার্কায় এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘অস্কার ব্রুজন বাংলাদেশের রাজা। বসুন্ধরা কিংসকে জিতিয়েছেন চারটি শিরোপা।’ শুধু ব্রুজনের গুনকীর্তন করেই ক্ষান্ত হয়নি স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমটি, ফিজিকাল ট্রেইনার হাভিয়ের সানচেজেরও আকুণ্ঠ প্রশংসা করেছে তারা। মার্কার ভাষ্য, ‘এশিয়ায় শিরোনামে উঠে এসেছেন অস্কার। গ্যালিজিয়ান এই কোচ আরেক স্প্যানিশ ফিজিকাল ট্রেইনার হাভিয়ের সানচেজকে সঙ্গে নিতে আক্ষরিক অর্থেই রাজা হয়ে উঠেছেন। বসুন্ধরাকে জিতিয়েছেন তাদের চতুর্থ শিরোপা।’
আরেক ক্রীড়াদৈনিক এএস অবশ্য পাদপ্রদীপের আলোয় এনেছে কেবল অস্কারকেই। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রাজত্ব ধরে রাখলেন অস্কার ব্রুজন।’ বসুন্ধরার হয়ে তার টানা চার শিরোপাকেই বড় করে দেখছেন তারা।
খেলোয়াড়ি জীবনে অস্কার খেলেছেন সেল্টা ভিগোর বি দলে। এরপর কোচিং জীবনের শুরুর দিকেও তিনি ছিলেন সেল্টার সঙ্গে। তাদের যুবদলের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর আইএসএল হয়ে মায়োর্কার সহকারী কোচ হিসেবে ফিরেছিলেন স্পেনে। খুব বেশিদিন সেখানে থাকতে পারেননি অস্কার। মুম্বাই এফসির কোচ হয়ে আসেন ভারতে। এরপর মালদ্বীপের নিউ র্যাডিয়েন্ট হয়ে ২০১৮ সালে বসুন্ধরার কোচ হন স্প্যানিশ এই কোচ।
এনইউ/এটি