অস্ট্রেলিয়াকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বিসিবি

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল। প্রায় চার বছর পর এদেশে খেলতে এসেছে অজিরা। করোনাভাইরাসের মধ্যে নিরাপত্তা ইস্যুতে বাড়তি সর্তক সফরকারীরা। এজন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মাথায় বাড়তি শর্ত চাপিয়ে দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তার সবই পূরণ করেছে বিসিবি। যা অজিদের প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গেছে বলে মনে করছে টাইগার বোর্ড।
আজ (শুক্রবার) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে তা তাদের প্রত্যাশারও বেশি। তাদের যে তথ্য পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে তারা এখন পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে খুশি। বিশেষ করে ওদের প্রথম যে শর্ত ছিল- এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে যাওয়া পর্যন্ত এবং হোটেলের পরিবেশ সবকিছু নিয়ে খুশি আছে আমার মনে হয়।’
সঙ্গে যোগ করেন নিজামউদ্দিন, ‘এখন যে পরিস্থিতি, স্ট্যান্ডার্ড বায়োবাবল প্রটোকল আছে। এই প্রটোকলের বাইরে অস্ট্রেলিয়া দল বাড়তি কিছু চাহিদার কথা জানিয়েছে, আমরা সেগুলো পূরণের চেষ্টা করেছি। এর বাইরে কিন্তু তেমন কিছু না। বিষয়টাকে অতিরঞ্জিত করে দেখার সুযোগ নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই নতুন বাস্তবতা এবং আমাদেরকে এভাবেই ইভেন্টগুলো আয়োজন করতে হবে।’
জৈব সুরক্ষা বলয়ে সিরিজ আয়োজন করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর শ্রীলঙ্কা সিরিজও সফলভাবে শেষ করেছে বিসিবি। সঙ্গে ১২ দল নিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ আয়োজন করে অস্ট্রেলিয়ার আশ্বস্ত করতে পেরেছে বিসিবি। এবার এই সিরিজ সফলভাবে শেষ হলে অন্যান্য দলগুলোকে আনতে অসুবিধা হবে না বলে জানালেন নিজামউদ্দিন।
বোর্ডের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘এটা যদি সবার সহযোগিতায় সফলভাবে করতে পারি সামনের সিরিজগুলো আয়োজনেও ভূমিকা রাখবে। আমাদের আত্মবিশ্বাসও অনেক বেড়ে যাবে। ইতোমধ্যে দুইটা আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ও তিনটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করে আমরা পরীক্ষিত টিম, আমি মনে করি। সর্বশেষ টুর্নামেন্ট (ডিপিএল) ১২ দলের ছিল। এটাও সফলভাবে করেছি। এর পেছনে আমাদের যে অভিজ্ঞ জনবল তৈরি হয়েছে তা কাজে লাগাচ্ছি এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
টিআইএস/এমএইচ