ফুটবলে আবাহনীর আরও ভালো করার তাগিদ

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ঢাকা আবাহনী এখন মহিরুহ। ক্রীড়াঙ্গনের অনেক ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত ক্লাবটি। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ঢকা আবাহনী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। আজ ৫ আগস্ট শেখ কামালের ৭২তম জন্মবাষিকী উপলক্ষ্যে আবাহনী ক্লাব কর্তৃপক্ষ ভার্চুয়ালি এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেই ভার্চুয়াল সভায় ক্লাবের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ, আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ক্লাবের অন্যতম পরিচালক অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তাফা কামাল ও আরও অনেক পরিচালকের সঙ্গে সমর্থক গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দও ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল তার বক্তব্যে খেলার মাঠে আবাহনীর সাফল্যগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তাদের অভিনন্দন জানাই। হকি ফেডারেশন দুই বছর লিগ আয়োজন করেনি। তাই খেলা হয়নি। টেবিল টেনিসে মেয়েদের দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’ চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা আবাহনীর অবস্থান এখন তৃতীয়। আগামী মৌসুমে আরও ভালো ফুটবল দল গঠনের কথা জানান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ, ‘ফুটবলে আমাদের আরও ভালো দল গড়তে হবে। যেন ফুটবলে চ্যাম্পিয়নশিপ লড়াইয়ে থাকতে পারি। ’
আবাহনীর ক্যাম্প পুরোনো বিল্ডিং থেকে নতুন বিল্ডিংয়ে গেছে কমপ্লেক্স তৈরির জন্য। সব সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে চলেছে। আরও এগিয়ে যাবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন কাজী নাবিল। ক্লাবের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান শেখ কামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ব্যাপারে বলেন, ‘কমপ্লেক্স নির্মাণের সবকিছু তৈরি ছিল। করোনার কারণে হয়নি। কোভিড কমে গেলে শীতকালে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’
আবাহনী ক্লাব আজ বেশ সুন্দর ও সুদৃঢ় অবস্থানে। কিন্তু এই পথচলা সব সময় মসৃণ ছিল না আবাহনীর। চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘হারুন ভাইসহ অনেকেই আছেন। কর্নেল শাহেদকে (কাজী শাহেদ আহমেদ) মনে করছি। যিনি আমাদের অনেক খারাপ সময়ে টিকিয়ে রেখেছেন। উনি আজকে এই অনুষ্ঠানে থাকতে পারছেন না। তার ছেলে নাবিল (কাজী নাবিল আহমেদ) আছে। তাকেও ধন্যবাদ দিতে চাই। সবার সহযোগিতায় আবাহনী এই পর্যায়ে।’
আবাহনীকে যারা এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন, তাদের অবদানের কথাও তুলে ধরেন কাজী নাবিল, ‘আবারও স্মরণ করছি শেখ কামালকে। যার হাতে আবাহনী গড়ে উঠেছে। যারা ছেড়ে গেছেন, তাদের স্মরণ করছি। যারা আছেন, তাদের আমাদের চলার পথে পথ দেখানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। পূর্বসূরি যারা কাজ করে গেছেন, চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, হারুনুর রশীদ, আমার বাবা কাজী শাহেদ আহমেদসহ অনেকেই কাজ করে গেছেন। আবাহনী প্রতিষ্ঠা করার জন্য। প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য।’
আবাহনীর বিরুদ্ধে নানান সময়ে ষড়যন্ত্রেরও শিকার হয়েছে, ‘আবাহনীর বিপক্ষে বিভিন্ন সময়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। খেলা ও খেলার বাইরে। আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতার কারণে তা মোকাবিলা করে আজ এই পর্যন্ত আসা হয়েছে।’
এজেড/এমএইচ