এমন খারাপ দিন কখনো দেখেননি সাকিব

টানা তিন ম্যাচ জয়। দলটার নাম আবার অস্ট্রেলিয়া। আত্মবিশ্বাস থাকার কথা তুঙ্গে। কিন্তু বাংলাদেশের ভঙ্গুর ব্যাটিং যেন দেখাল তার বিপরীত কিছু। আগের দুই ম্যাচেও যে খুব ভালো ব্যাটিং হয়েছে, ব্যাপারটা তেমন নয়। কিন্তু ১০৪ রানেও তো গুঁটিয়ে যায়নি।
তাও একটু মৃদু আশা নিশ্চয়ই ছিল। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের পিচ তো আগের তিন ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের জন্য ‘ধাঁধা’ হয়েই থেকেছে। এই ম্যাচেও বাংলাদেশের বোলাররা তেমনই রাখবেন, মনে আশা ছিল অনেকের।
কিন্তু সাকিব আল হাসান কি না এক ওভারেই খেলেন পাঁচ ছক্কা! যেখানে রান তুলতে নাভিশ্বাস উঠছে ব্যাটসম্যানদের। ঠিকঠাক ব্যাটে বল লাগাতে পারছেন না, টাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে যাচ্ছে, বোঝা যাচ্ছে না গতিপথ। ওই পিচেই ডেন ক্রিশ্চিয়ানের কাছে সাকিব বল হাতে এক ওভারে খেলেন পাঁচ ছক্কা।
অবশ্য এমন হতেই পারে। ক্রিকেট তো জীবনের মতোই। ভালো বা খারাপ, দুই রকমের দিনই আসতে পারে। কিন্তু যখন এত অল্প লক্ষ্য, এক ওভারে ৩০ রান তোলার পরও ম্যাচ শেষ ওভারে গড়ায়। অস্ট্রেলিয়ানরা হারিয়ে ফেলে সাত উইকেট।তখন একটু আফসোস হয়। সাকিবের ওভারটা অন্যরকম হলে গল্পটা হয়তো ভিন্ন হতো।
তবে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার ক্যারিয়ারে আর কখনো দেখেননি। এই প্রথম বল হাতে খেয়েছেন ৫ ছক্কা। অবশ্য এক ওভারে ৩০ রান দিয়েছেন আগেও। ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ে রায়ান বার্ল মিরপুরেই তিন ছক্কা ও চারে করেছিলেন ৩০ রান।
ক্রিশ্চিয়ান সমান রান নিলেও সবগুলোই হাঁকিয়েছেন ছক্কা। অবশ্য বাংলাদেশের হয়ে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ডটা এখনো মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রুমে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার ৩১ রান নিয়েছিলেন সাইফ উদ্দিনের এক ওভারে।
তবে সাকিব নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বোলিং ফিগারটা আজই করেছেন। অজিদের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে তিনি দিয়েছেন ৫০ রান। র্বালের কাছে যেদিন এক ওভারে ৩০ খেয়েছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৯ রান দেন সাকিব।
এমএইচ