শেষ দিনের রোমাঞ্চ নিয়ে হ্যাটট্রিকের অপেক্ষায় ভারত

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৮৩
ভারত ১ম ইনিংস: ২৭৮
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩০৩ (বার্নস ১৮, সিবলি ২৮, রুট ১০৯, বেয়ারস্টো ৩০, লরেন্স ২৫, বাটলার ১৭, কারান ৩২, রবিনসন ১৫; বুমরাহ ৬৪-৫, সিরাজ ৮৪-২, শামি ৭২-১, শার্দুল ৩৭-২)।
ভারত ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ২০৯) ১৪ ওভারে ৫২/১ (রাহুল ২৬, রোহিত ১২*, পুজারা ১২*; ব্রড ১৮-১)।
২০০৭ এ নিজেদের সেরা ইংল্যান্ড সফরে এই এখানেই একমাত্র টেস্টটা জিতেছিল ভারত। এর ১১ বছর পর নিজেদের সবচেয়ে বিস্মরণযোগ্য সফরটাতেও এই টেন্ট ব্রিজে খালি হাতে ফেরেননি বিরাট কোহলির দল। ২০০৭, আর ২০১৮ এর ধারাবাহিকতা কি ২০২১-এও এসে ধরে রাখতে পারবে ভারত? সে প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজই। ইংল্যান্ড সফরে প্রথম টেস্টের শেষ দিনে ভারতের চাই আর ১৫৭ রান, হাতে আছে আরও নয়টি উইকেট।
যশপ্রীত বুমরাহ প্রথম ইনিংসেও বেশ ভুগিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকে। ভোগালেন দ্বিতীয় ইনিংসেও। ৬৪ রান দিয়ে নিলেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে তার ষষ্ঠ পাঁচ উইকেট শিকারে ইংল্যান্ড বড় বিপদেই পড়তে পারত, যদি না জো রুট দাঁড়িয়ে যেতেন বুক চিতিয়ে।
দিনের শুরুতে সিরাজের শিকার হয়ে ওপেনার ররি বার্নস আর বুমরাহর বলে জ্যাক ক্রলি বিদায় নেন। এরপরই শুরু হয় রুটের প্রতিরোধ। তিনে নামা ডম সিবলিকে নিয়ে শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। তাতে অর্ধশতকটাও ছুঁয়ে ফেলেন ৬৮ বলে। শতরান পার করে তাতে ইংল্যান্ড পেয়ে যায় লিডও। তবে বুমরাহর আঘাতেই শতরানের একটু আগে ভাঙে দুজনের এই জুটি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ইংলিশরা। জনি বেয়ারস্টো থিতু হয়ে ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৩০ রানে। ওয়ানডে মেজাজে ২৫ করে শার্দুল ঠাকুরের শিকার হয়ে ফেরেন ড্যান লরেন্সও। চা বিরতির পর বাটলারও শিকার বনে যান শার্দুলের।
সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝেই রুট পেয়ে যান ২০তম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা। তবে এরপর তাকে আর বেশিক্ষণ টিকতে দেননি বুমরাহ। ব্যক্তিগত ১০৯ আর দলীয় ২৭৪ রানে তাকে ফেরান ভারতীয় পেসার। এরপর স্যাম কারান আর ওলি রবিনসনের ছোট ছোট অবদানে ভারতকে ২০৯ রানের লক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ড।
টেন্ট ব্রিজে চলমান টেস্টের শুরু থেকেই ছড়ি ঘুরিয়েছেন বোলাররা। এমন পরিস্থিতিতে ২০৯ রানের লক্ষ্যও বেশ বড়। তবে ভারত এরপরও শুরুটা করেছে বেশ ভালো। প্রথম ইনিংসে ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক লোকেশ রাহুল দ্বিতীয় ইনিংসেও বেশ ভালো শুরুই করেছিলেন। ৩৭ বলে তুলে নিয়েছিলেন ২৬ রান। কিন্তু তারপরই স্টুয়ার্ট ব্রডের দারুণ এক বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে বিদায় নিতে হয় তাকে।
তার বিদায়ের পর অবশ্য ভারত আর পা হড়কায়নি। রোহিত শর্মা আর চেতেশ্বর পুজারার দৃঢ়তায় সফরকারীরা দিন শেষ করেছে ৫২ রান নিয়ে। তাতে শেষ দিনে জয়ের জন্য প্রয়োজন আর ১৫৭ রান, হাতে আছে নয় উইকেট।
শুরুর চার দিনে আধিপত্য ছিল বোলারদের। শেষ দিনটা তাই বড় চ্যালেঞ্জ নিয়েই অপেক্ষা করছে ভারতের সামনে। তবে এই চ্যালেঞ্জে জিতে গেলেই আবার টেন্ট ব্রিজে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলবে বিরাট কোহলির দল।
এনইউ