সেই মিন্টুর অধীনেই জিতল সাইফ

অনেক আশা নিয়ে লিগের মাঝপথে ব্রিটিশ কোচ স্টুয়ার্ট হলকে এনেছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। সেই আশায় গুড়ে বালি। পারফরম্যান্স ভালো না হওয়ায় তার সঙ্গে চুক্তি বাড়ায়নি সাইফ। হল চলে যাওয়ার পর আজই (মঙ্গলবার) ছিল সাইফের প্রথম ম্যাচ। এই ম্যাচেই বাজিমাত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। শক্তিশালী শেখ রাসেল স্পোটিং ক্লাবকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে তার দল। পল পুটের বিদায়ের পরও মিন্টুর অধীনে দুই ম্যাচ জিতেছিল সাইফ স্পোর্টিং।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে ছয় গোলের ম্যাচে জয় পেয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে তারা। এই জয়ে ফলে পয়েন্ট টেবিলে শেখ রাসেলকে সাতে নামিয়ে ছয়ে উঠে এলো সাইফ স্পোর্টিং। ১৯ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে সাইফ। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে শেখ রাসেল ৩০ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ছয় মিনিটে গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিল সাইফ স্পোর্টিং। কিন্তু সাইফের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কেনেথের শট ঠেকিয়ে দেন শেখ রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা। ৮ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে জামাল ভূঁইয়ার শটও গ্লাভস বন্দী করেন আশরাফুল রানা।
৯ মিনিটে আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের বাড়ানো ক্রসে গোলমুখে শট নিয়েছিলেন জন ওকোলি। কিন্তু তার শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসলেও বল শেখ রাসেলের আসাদুজ্জামান বাবলুর গায়ে লেগে জালে জড়ায়। ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় নেয়নি শেখ রাসেল কেসি।
১৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল। কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার বখতিয়ারকে ডি বক্সের ভেতর ফেলে দেন সাইফের রিয়াদুল হাসান রাফি। স্পট কিক থেকে আব্দু্ল্লাহর শট সাইফের গোলকিপার শান্তু কুমার ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি বলে শট নিয়ে গোল করেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ওবি মনেকে।
২৭ মিনিটে আবার লিড নেয় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। দারুণ এক গোল করেন সাইফের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কেনেথ। আবিদ আহমেদ লং বল দেন কেনেথের উদ্দেশ্যে। কেনেথ তা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় আশরাফুল ইসলাম রানার দু পায়ের মাঝখান দিয়ে বল জালে জড়ান। ৩৯ মিনিটে ম্যাচে আরও এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। দুর্দান্ত গতিতে বল নিয়ে ছুটে যান কেনেথ।
যে শট তিনি নেন সেটা আশরাফুল ইসলাম রানার পায়ে লেগে বল লাফিয়ে উঠে। সেই বলে হেড নিয়ে পাঠিয়ে দেন গোলমুখে থাকা জন ওকোলিকে। তাতে জন ওকোলি হেডে বল জালে জড়ান। প্রথমার্ধেই ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং।
বিরতি থেকে ফিরে ৫২ মিনিটে ব্যবধান আরও বড় করে সাইফ স্পোর্টিং। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের গ্রাউন্ড শটে বল জালে জড়ান কেনেথ। আশরাফুল রানা বা দিকে ঝাপিয়েও বলের নাগাল পান নি। ম্যাচে ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় সাইফ।
তবে ৬৩ মিনিটে সাইফের ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান কমায় শেখ রাসেল। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ওবি মনেকে। এরপর দুই দলই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। সাইফের ৪-২ গোলের জয়ে শেষ হয় ম্যাচ।
এজেড/এমএইচ/এটি