করোনাজয়ী রুবেলই আবাহনীর জয়ের নায়ক

বুধবার রাতে সবার শেষে নেগেটিভ রেজাল্ট পেয়েছেন রুবেল মিয়া। পজিটিভ থাকায় অনুশীলনেও ছিলেন না। বৃহস্পতিবার ম্যাচে সেই রুবেলই হলেন আবাহনীর জয়ের অন্যতম নায়ক। সর্বোচ্চ ছয় বারের লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী বাংলাদেশ পুলিশকে ১-০ গোলে হারিয়ে নতুন লিগের যাত্রা শুরু করল।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে একমাত্র সেই গোলের যোগানদাতা রুবেল মিয়া। রুবেল মিয়ার ক্রসে জীবনের পাঁ ছুয়ে বল যায় বারের খুব কাছে দাঁড়ানো বেলফোর্টের কাছে। তার নেয়া শট প্রথমে পুলিশের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লাগে। ফিরতি বলে ডান পায়ে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন হাইতিয়ান এ ফরেয়ার্ড।
আক্রমণের কমতি ছিল না আকাশী-হলুদ শিবিরে। ম্যাচের ২৪ মিনিটে বক্সের খুব কাছে ফ্রি কিক পায় আবাহনী। বেলফোর্টের শট ফেরাতে গেলে বল পুলিশের অধিনায়ক এবং আইভরিকোস্টের ডিফেন্ডার ল্যান্সিন তুরের হাতে লাগে। রেফারি হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজান। কিন্তু সেট পিস কাজে লাগাতে পারেনি আবাহনী। মাসিহ সাইঘানির শট পুলিশের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে চলে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা মারিও লেমোসের দল অনেকটা গোছানো ফুটবল খেলে। কিন্তু পুলিশের জমাট রক্ষন ভাঙ্গতে পারছিল না তারা। বেলফোর্ট, ফ্রান্সিসকো, রাফায়েলদের থামানোর জন্য রক্ষনভাগে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান জালাল মিয়া ও ফয়সালরা। ছোট ছোট পাসে খেলার কৌশল পরিবর্তন করে দূর থেকে শট নিতে থাকে আবাহনী। তাতেও কাজ হচ্ছিল না। বেলফোর্ট ও মামুনুলদের জোরালো শটগুলো বিপদ হয়ে ওঠতে পারেনি পুলিশের জন্য।
দলের বিদেশিদের মধ্যে মাসিহ সাইঘানি কিছুটা উজ্জল ছিলেন। আবাহনীর আক্রমনগুলো থামিয়ে মাঝে মাঝে পাল্টা আক্রমন শানায় পাকির আলীর দল। কিন্তু তা গোল পাওয়ার মতো ছিল না। ম্যাচের ৮০ মিনিটে আবাহনীকে হতাশ করে পোস্ট। ওয়ালি ফয়সালের কর্ণারে নাসির উদ্দিন চৌধুরীর ব্যাক হেড। এরপর সাইঘানির হেড পুলিশের গোলকিপার মো. নেহালের হাত থেকে পোস্টে লাগে। সামনে বল পড়লে সাইঘানি শট নিলে তা বাইরে দিয়ে চলে যায়। তবে গোল পেতে আরও মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করতে হয় আবাহনীকে।
লিগের উদ্বোধনী দিনে বসুন্ধরা কিংসের জয়ে বড় অবদান ছিল আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড রাউল অস্কার বেসেরার। এবার ঢাকা আবাহনীকে উতরে দিলেন আরেক বিদেশি হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট কারভেন্স।
এজেড/এনইউ/এটি