এক আবাহনীর জয়, আরেক আবাহনীর হার

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা ও চট্টগ্রাম দুই আবাহনীরই ম্যাচ ছিল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনী বড় জয় পেলেও আর্মি স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী হেরেছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনী ৫-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে শেখ রাসেলের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে রানার্স আপ দৌড়ে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনী ০-২ গোলে হেরেছে রহমতগঞ্জের কাছে।
শেখ রাসেলকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা শেখ জামালের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কিছুটা কমিয়েছে ঢাকা আবাহনী। ২২ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪৩ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে ৪৫ পয়েন্ট শেখ জামালের। এদিকে রহমতগঞ্জের কাছে ১-০ গোলে হেরে রানার্স আপের লড়াই থেকে একরকম ছিটকে গেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। ২২ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট ৪০।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে আবাহনীকে চাপে রেখেছিল শেখ রাসেল।
২০ মিনিটে সুযোগ এসেছিল শেখ রাসেলের। ডান প্রান্তে ভালো জায়গায় বল পেয়েছিলেন রাসেলের নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ওবি মনেকে। কিন্তু বল পাঠিয়ে দেন সাইড বারের পাশ দিয়ে।
এক মিনিট পরই সুযোগ নষ্ট করেন ওবি মনেকে। তাতে আফসোস বাড়ে শেখ রাসেলের। রুমন হোসেনের বাড়িয়ে দেওয়া বলে গোলমুখে থেকেও বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি ওবি মনেকে। এজন্য অবশ্য মাঠে বৃষ্টির পানিকে দায়ী করতে পারেন তিনি। ম্যাচ শুরুর আগে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে যাওয়ায় স্বাভাবিক খেলায় সমস্যা হয়েছে ফুটবলারদের।
২৫ মিনিটে আবাহনীর সামনেও সুযোগ এসেছিল। তবে বেলফোর্টের শটে প্রস্তুত ছিলেন শেখ রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা। ৩০ মিনিটে আবার গোলের সুযোগ শেখ রাসেলের। কিন্তু রুমন বা পায়ে যে শট নিলেন তা চলে যায় গোলবারের পাশ দিয়ে।
৩২ মিনিটে লিড নেয় ঢাকা আবাহনী। তাদের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার শট শেখ রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা ঠেকিয়ে দিলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ফিরতি বলে সানডের শটে বল জড়ায় শেখ রাসেলের জালে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল শেখ রাসেল। কিন্তু সফল হতে পারেনি। আবাহনীর ১-০ গোলের লিডে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতি থেকে ফিরে গোল শোধের চেষ্টা চালাতে থাকে শেখ রাসেল। বেশ কয়েক বার আক্রমণও করে তারা। কিন্তু শেখ রাসেল এক গোল দেওয়ার বিপরীতে উল্টো হজম করে চার গোল। ৬৪ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে শেখ রাসেল কেসি। বখতিয়ারের কর্ণার থেকে ডি বক্সে তৈরি হওয়া জটলায় কাদায় বল আটকে যায় শেখ রাসেলের তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার আসরোরোভের সামনে। গোল করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি তিনি।
তবে আবার এগিয়ে যেতে বেশি সময় নেয়নি আবাহনী। ৭০ মিনিটে স্কোরলাইন ২-১ করে তারা। সানডে বল বাড়িয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েলকে। তার দারুণ শট শেখ রাসেলের রুস্তমের গায়ে লেগে বল জায়গা করে নেয় জালে। ৮০ মিনিটে আবার গোলের দেখা পায় ঢাকা আবাহনী। গোল করেন বেলফোর্ট।
আট মিনিট পর শেখ রাসেলের জালে আবারও বল জড়ায়। ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করেন রাফায়েল। তিনি দুই গোল করেছেন। ৯৩ মিনিটে এবার আবাহনীর গোলদাতা সানডে চিজোবা। ফলে ৫-১ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী। এই ম্যাচে মাঠে বসে দেখেছেন জাতীয় দলের হেড কোচ জেমি ডে।
আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম আবাহনী ও রহমতগঞ্জের ম্যাচটি প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দশ মিনিটে দুই গোল করে রহমতগঞ্জ। নাইজেরিয়ান ফেলিক্স ৮১ মিনিটে ম্যাচে লিড এনে দেন। ইনজুরি সময়ে মাহমুদুল হাসান কিরণ করেন আরেক গোল। এই জয়ে রহমতগঞ্জ ২১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে।
এজেড/এমএইচ