বেঁচে থাকতে ব্রাদার্সের অবনমনও দেখতে হলো!

ঢাকার ফুটবলে আবাহনী ও মোহামেডানের পর ব্রাদার্স ইউনিয়নের তৃতীয় শক্তি এবং জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে বাবলু-মহসিন জুটি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। এই দুই জুটির অসাধারণ পারফরম্যান্স আবাহনী-মোহামেডানের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ত তারা। ব্রাদার্সকে ভালোবেসে আবাহনী-মোহামেডানের লোভনীয় প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন বাবলু-মহসিন। সেই ব্রাদার্সের এবার প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমন হয়েছে।
ব্রাদার্সের সোনালী যুগের ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু এমন অবস্থা দেখে দুঃখ নিয়ে বললেন, ‘ষাটের বেশি বয়স হয়েছে। বাঁচব আর কয়দিন! আমার এই জীবদ্দশায় ব্রাদার্স প্রিমিয়ার ফুটবলে নেই, এমনটা দেখতে হলো। এর চেয়ে কষ্ট জীবনে আর কিছু হতে পারে না।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবলু আরও বলেন, ‘ব্রাদার্স ক্লাবের পেছনে অনেক অবদান আমাদের বন্ধু শহিদ উদ্দিন সেলিমের। সেলিম ক্যান্সারে আক্রান্ত। ব্রাদার্স প্রিমিয়ারে নেই এই খবর শুনলে ওর শরীর আরও খারাপ হবে।’ প্রিমিয়ার ফুটবলে ওঠার আগে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ফুটবলাররা সেলিমদের বাড়িতে ক্যাম্প করতেন। তিনি নিজেও জাতীয় ফুটবলার ও কোচ ছিলেন। সম্প্রতি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে অস্ত্রপচার করিয়েছেন।
গোপীবাগে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের অবস্থান। সেখানেই থাকেন বাবলু। এই এলাকাতেই থাকেন আরেক কিংবদন্তি ফুটবলার ওয়াসিম ইকবাল সেলিম। সাবেক তারকা ফুটবলাররা ক্লাবের সাথে সেভাবে খুব একটা যুক্ত নন। নিজেদের ক্লাব বিমুখতা সম্পর্কে বাবলু বলেন, ‘বর্তমানে যারা ক্লাব পরিচালনায় রয়েছেন। তারা আমাদের ডাকেন না। ব্রাদার্স ডাকলে আমরা অবশ্যই পাশে থাকতাম।’
ব্রাদার্স ইউনিয়ন প্রিমিয়ার ফুটবলে রেলিগেশনে গেলেও ক্লাবের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা তিন জন ব্যক্তি এবার ফুটবল ফেডারেশনে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে বাবলু বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। ক্লাবের তিন জন কর্মকর্তা ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটিতে রয়েছে। অথচ ক্লাবটি প্রিমিয়ারে টিকে থাকতে পারল না।’
এজেড/এমএইচ