‘ব্রিফকেস’ নয়, সাফ এখন আধুনিক সংগঠন

ফুটবল বিশ্বে মহাদেশীয় সংস্থার পাশে কিছু আঞ্চলিক সংস্থাও রয়েছে। সেই আঞ্চলিক সংস্থার মধ্যে অন্যতম সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। সাফের কর্মকান্ড আগে খুবই সীমিত, ছিল না নিজস্ব কার্যালয়ও। গত কয়েক বছর বাফুফে ভবনে একটি কক্ষে সাফের সচিবালয় হিসেবে ব্যবহার হতো। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে অবশ্য দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ সংস্থা নিজস্ব অফিস পেয়েছে।
আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর উন্নয়নের জন্য ফিফা আর্থিক অনুদান দিচ্ছে। সেই অনুদানের উপর ভর করেই সাফ নিজস্ব কার্যালয় গড়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বনানীতে একটি বহুতল ভবনের এক তলা সাফ কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সাফ কার্যালয়ে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলালের জন্য আলাদা করে একটি কক্ষ রয়েছে।
সাফ এখন অন্যতম ব্যস্ত ফুটবল সংগঠন। ফিফা-এএফসি'র সঙ্গে প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোন বৈঠক হয়। সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে রেফারিং, কোচিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে নানা সেমিনারও করছে সাফ।
আছে একটি বোর্ড মিটিংয়ের জন্য রুম। দাপ্তরিক কাজের জন্য একটি ও আর্থিক বিভাগের জন্য আলাদা একটি কক্ষ রয়েছে। ছোট্ট পরিসর হলেও আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে অনেক দিন পর নিজস্ব অবয়বে সাফের পেশাদারিত্বের পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে।
নেপালের গণেশ থাপা ও বাংলাদেশের সিরাজুল ইসলাম বাচ্চু দীর্ঘদিন সাফের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেই সময় শুধু সাফের মূল চ্যাম্পিয়নশিপটিই হতো। ছিল না কোনো কার্যালয়। সে সময় সাফকে বলা হতো ব্রিফকেস সংগঠন। ২০০৯ সালে কাজী সালাউদ্দিন সাফ সভাপতি হওয়ার পর নারী টুর্নামেন্ট ও যুব টুর্নামেন্ট শুরু হয়। ধীরে ধীরে সাফের টুর্নামেন্ট ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাড়ে। ফিফা এবং এএফসিও আঞ্চলিক সংস্থায় অনুদান এবং জোর দেয়ায় সাংগঠনিক দৃঢ়তা পায়।
২০১৪ সাল থেকে সাফে পেশাদার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সংগঠক আনোয়ারুল হক হেলাল। বাফুফে ভবনে অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় সময়ে বাফুফে বিভিন্ন বিভাগে ব্যক্তিদের দিয়ে কাজ পরিচালনা করতেন। ২০১৮ সালের দিকে একজন এক্সকিউটিভ নেয় সাফ। গত দুই বছর তিনিই সব কাজ করতেন। ফিফার অর্থায়নের নিশ্চয়তার পর এখন সাফের নিজস্ব অফিসের পাশাপাশি জনবলও বেড়েছে। কম্পিটিশন, মিডিয়া, ফিন্যান্স, প্রশাসন সব বিভাগেই প্রয়োজনীয় লোকবল নেয়া হয়েছে। ভূটান ও নেপালের ফুটবল প্রশাসনে কাজ করা ব্যক্তিরা সাফ সচিবালয়ে যোগ দিয়েছেন। মার্চ মাসের দিকে এদের নিয়োগ হলেও করোনার জন্য বাংলাদেশে আসতে বিলম্ব হয়েছে। সাফের মিডিয়া ম্যানেজার নেপালের আয়ুশ খাড়কা কদিনের মধ্যেই আসবেন।
১-১৩ অক্টোবর মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ। আসন্ন সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ পেশাদার হিসেবে সাফ টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এজেড/এনইউ