প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ বলেই আত্মবিশ্বাসী রোচ

অভিষেকটা বাংলাদেশের বিপক্ষে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার কেমার রোচের। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীও তিনিই। সেই প্রতিপক্ষের মাটিতে আরও একবার সিরিজের আগে এসব ব্যাপার বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে ক্যারিবীয় এই পেসারকে।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন শেষে এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে আমার অভিষেক হয়েছিল। যদিও সেটা ছিল নিজেদের মাঠে। এখানে বেশ কবার আসা হয়েছে আমার, সব ফরম্যাটে খেলেছি। এটা সবসময়ই আমাকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগায়। এখানে তারা গড়ে উঠেছে, তাই নিজেদের মাটিতে তারা বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ। আসছে সিরিজে তাই আমাদের সেরাটাই দিতে হবে আর নিজেদের কাজে মনোযোগী হতে হবে।’
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারি তিনি। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ৩২ উইকেট। করোনা-জটিলতার কারণে দলের একটা বড় অংশ না আসায় প্রায় অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপের নেতৃত্ব দেয়ার ভারটাও এবার রোচের কাঁধে। তবে ক্যারিবীয় এই পেসার জানালেনে, নিজের পরিকল্পনাতেই মনোযোগী হতে চান তিনি। বললেন, ‘নিজ দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়ে এখানে আসায় আত্মবিশ্বাসী অবশ্যই। কিন্তু এখানকার উইকেট পেসারদের জন্য কঠিন সবসময়ই। তবে আমি জানি যদি পরিকল্পনাটা ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে দলের জয়ে অবদান রাখতে পারবো।’
কী হওয়া উচিত সে পরিকল্পনাটা? রোচের ভাষায়, ‘মাঠে বেশ আক্রমণাত্মক থাকতে হবে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের উপর চড়াও হতে হলে। যেহেতু পিচে খুব বেশি বাউন্স থাকবেনা। আপনাকে গতিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে। সবচেয়ে সহজ বিষয় হল ভালো জায়গায় টানা বল করে যেতে হবে যতটা সম্ভব।’
তবে প্রায় অনভিজ্ঞ দল হলেও দলের পেস আক্রমণ শক্তিশালী তো বটেই, তর্কসাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকেও ভালো। রোচের বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানী এ বিষয়টাও। তিনি বলেন, ‘আমি আর শ্যানকে (শ্যানন গ্যাব্রিয়েল) আমাদের কাজটা করতে হবে, আলজারিও (জোসেফ) আছে। স্পিনারদের সম্ভবত আরও কিছু কাজ করতে হবে। উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত নেবো আমরা। বোলিং ইউনিটের সাফল্যের জন্য দল হিসেবে খেলতে হবে। আর সেরকমটা হলেই আমাদের বোলিং ইউনিট ভালোভাবে পরিকল্পনা প্রয়োগ করতে পারবে। আমরা ভালো পরিকল্পনা করছি, বোলিং কোচের সাথে কথা হচ্ছে, নিজেদের মধ্যেও আলাপ আলোচনা করছি।’
আসছে সিরিজের আগে ঘুরে ফিরেই আলোচনায় ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজটি। সেবার বেতনভাতা নিয়ে বনিবনতা না হওয়ায় সরে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রিস গেইলরা। এবার অবশ্য করোনা-শঙ্কায় নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন প্রথম সারির দশ ক্যারিবীয় ক্রিকেটার। সেবারের সঙ্গে এবারের মিল খুঁজে পাচ্ছেন রোচও।
ক্যারিবীয় পেসারের ভাষায়, ‘তখন আমিও বেশ অনভিজ্ঞ ছিলাম। আমি মনে করি ছেলেরা তখন বেশ চাপে ছিল ভালো করার জন্য কিন্তু তারা পারেনি। তবে সবার জন্যই বড় এক শিক্ষা ছিল সে সিরিজটা। এবারও একই পরিস্থিতিতে পড়েছি। তবে যেটা বললাম আমরা ভালো পরিকল্পনা করছি। আশা করছি অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো প্রস্তুতি নিয়েই আমরা টেস্ট সিরিজ শুরু করবো।’
প্রতিপক্ষ শিবিরে সাকিব-তামিম-মুশফিকদের মতো খেলোয়াড়রা থাকলেও নিজেদের দলীয় খেলাটাতেই মনোযোগী হতে চায় উইন্ডিজ। শুক্রবার দলের মুখপাত্র হিসেবে আসা রোচের কথা, ‘তামিম ইকবাল তাদের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান, সাকিব ফিরেছে, মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ আছে। বেশ কিছু ভালো নাম আছে তাদের। তবে আমরা আসলে আমাদের দিকে ফোকাস রাখছি। যদি ভালো পরিকল্পনা করতে পারি, ভালো জায়গায় বল করতে পারি তা আমাদের জন্য সহায়ক হবে।’
এনইউ/এটি