হোটেলে করোনার থাবা, ‘সজাগ’ ইংল্যান্ড

শ্রীলঙ্কায় অবস্থানরত ইংল্যান্ড দলের হোটেলে একজন সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এতে নিয়ে কোনো ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট।
হোটেলের রান্নাঘরে কাজ করা দুজনের করোনা শনাক্তের খবর শুক্রবার সকালে জানানো হয় ইংল্যান্ড দলকে। তাদের কারো সঙ্গে খেলোয়াড় বা কোচিং স্টাফদের কারো সরাসরি যোগাযোগ হয়নি বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার সর্বশেষ করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ইংল্যান্ড দলে, যাতে দলের একজনও করোনা পজেটিভ হননি। দলের পরবর্তী করোনা পরীক্ষা হওয়ার কথা আগামী মঙ্গলবার। তবে হোটেলে নতুন করে করোনা শনাক্ত হলে আরও আগেই করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে জো রুটদের।
মহামারীকালে ইংলিশরা যেন একটু বেশিই সতর্ক। গেল মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, আর গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ বাতিল করেই দেশে ফিরেছিল দলটি। চলতি সিরিজের আগে সফরকারী বহরে যোগ করেছে কোভিড বিষয়ক কর্মকর্তা পদে নতুন একজনকে।
তবে হোটেলে করোনা শনাক্তের খবরে বিচলিত নয় ইংলিশরা। দলের একজন মুখপাত্র ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, ‘আমরা দুশ্চিন্তা করছি না। আমাদের প্রটোকলগুলো বেশ ভালো। আমরা সজাগ থাকবো। আমরাই ক্রিকেট-বিশ্বের সবচেয়ে নিয়মানুবর্তী দল, যাদের কোভিড বিষয়ক কর্মকর্তা আছেন। আমরা যেখানেই যাই, যেন বিশ্বমানের করোনা-সুরক্ষা পাই সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তার। আমরা তারপরও সজাগ থাকছি আর লঙ্কান কর্তৃপক্ষের প্রটোকলের প্রতি সম্মান রাখছি। নিজেদের খেলোয়াড় আর স্থানীয় জনগনকে নিরাপদ রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবো।’
আপাতত ‘সজাগ থাকার’ মন্ত্রে বিশ্বাসী ইংল্যান্ড দল। দলের সে মুখপাত্র বলছেন, ‘আমরা গলে নিজেদের ঘাঁটি আর স্টেডিয়ামে সতর্ক থাকছি। খেলোয়াড়রা সামাজিক দূরত্বের নীতিমালাকে সম্মান জানাচ্ছেন, ঘরের ভেতরও মাস্ক পরছেন, আর হোটেলের ডাইনিংয়ে খাচ্ছেন একা একটি টেবিলে। আমাদের কোভিড বিষয়ক কর্মকর্তা খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিদিনই আলোচনা করছেন, যেখানে তিনি শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ড দুই দেশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানাচ্ছেন সবাইকে।’
সফরের শুরুতে করোনায় আক্রান্ত হওয়া মইন আলি এখনো করোনা নেগেটিভ হননি। ফলে তাকে সতর্কতাবশত আলাদা হোটেলে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এনইউ