উইন্ডিজকে চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস হার

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪৪/৬ ফ/অ (ক্যাম্পবেল ৬৮, হোল্ডার ৬০; বোল্ট ৩-৭৫, জ্যামিসন ২-৪৩)
ও ১৩১ (ব্ল্যাকউড ৬৯; জ্যামিসন ৫-৩৪, সাউদি ৫-৩২)
নিউজিল্যান্ড ৪৬০ (নিকলস ১৭৪, ওয়াগনার ৬৬; গ্যাব্রিয়েল ৩-৯৩)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফলো অনে পড়ার শঙ্কা ছিলো দ্বিতীয় দিনেই। আট উইকেটে ১২৪ রান নিয়ে দিন শেষ করা সফরকারীরা তৃতীয় দিনের শুরুতেই পড়লো ফলো অনে। দ্বিতীয় ইনিংসেও জন ক্যাম্পবেল বাদে ব্যর্থ টপ অর্ডারের সবাই। এরপর জেসন হোল্ডারের প্রতিরোধে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৪৪ পর্যন্ত পৌঁছুলেও তাই ক্যারিবীয়দের চোখ রাঙাচ্ছে টানা দ্বিতীয় ইনিংস হারের শঙ্কা।
দিনের শুরুতে প্রথম ইনিংসের দুই উইকেট তুলে নিতে খুব একটা সময় নেয়নি নিউজিল্যান্ড। দুটো উইকেটই শিকার করে টিম সাউদি ক্যারিয়ারে দশমবারের মতো পাঁচ উইকেট পূরণ করেন।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের ধাতস্থ হতে দেননি নিউজিল্যান্ডের পেস কোয়াট্রেট সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, কাইল জ্যামিসন ও নিল ওয়াগনার। লেগ সাইডে ছাতার মতো ফিল্ডার সাজিয়ে ক্রমাগত করে গেছেন সব বিষাক্ত শর্ট বল, যে বিষেই নীল হয়েছে সফরকারী ব্যাটিং লাইনআপ।
বোল্টের শিকার হয়ে দলীয় ৪২ রানেই ফেরেন ড্যারেন ব্রাভো ও ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। এরপর ক্যাম্পবেল শামরাহ ব্রুকসকে সঙ্গে নিয়ে আশা দেখাচ্ছিলেন উইন্ডিজকে। তবে জুটির সংগ্রহ ৮৯ হতেই আঘাত হানেন ওয়াগনার, ব্যক্তিগত ৩৬ রানে ফেরেন ব্রুকস। পরের তিন ওভারে ক্যাম্পবেল (৬৮) আর রস্টন চেসকে (০) হারিয়ে উইন্ডিজ পরে ঘোর বিপদে।
এরপর থেকেই শুরু হোল্ডার-প্রতিরোধের। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে গড়লেন ৩৬ রানের একটা ছোট্ট জুটি। ব্যক্তিগত ২০ আর দলীয় ১৭০ রানে তিনি ফিরে গেলে হোল্ডারের সঙ্গী হন অভিষিক্ত জশুয়া দা সিলভা। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৭৪ রানের জুটিতেই আপাতত টিকে আছে সফরকারীদের ইনিংস হার এড়ানোর আশা। চতুর্থ দিনের শুরুতে যখন আবারও মাঠে নামবে দুই দল, উইন্ডিজের আপাতত লক্ষ্য থাকবে অন্তত ৮৬ রান তুলে ইনিংস হার এড়ানো। সকালের আদ্র উইকেট আর নিউজিল্যান্ড পেস কোয়াট্রেটের মিশেলে যে লক্ষ্যটা যথেষ্ট কঠিনই সফরকারী উইন্ডিজের, তা বলাই বাহুল্য!
এনইউ