মেসিদের অপেক্ষা বাড়ল, পেছাচ্ছে নির্বাচন

মাঠের পারফর্ম্যান্সের সঙ্গে সঙ্গে বার্সেলোনা সভাপতি নির্বাচন নিয়েও শেষ কিছুদিনে যথেষ্ট সরগরম কাতালান সংবাদ মাধ্যম। কে পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন, এ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যেও আগ্রহের শেষ নেই। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমে গুঞ্জন, লিওনেল মেসিও চুক্তি নবায়নের আলোচনা আটকে রেখেছেন নির্বাচনের দিকে চেয়ে। তার এ অপেক্ষা বাড়ল বৈকি! করোনা প্রাদুর্ভাবের জন্য বার্সেলোনার সভাপতি নির্বাচন যে গেছে পিছিয়ে।
সাবেক সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমিউর অধীনে থাকা বোর্ডের সঙ্গে বনিবনতা না হওয়ায় বার্সেলোনা ছেড়েই চলে যেতে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। সেই বার্তোমিউ পদত্যাগ করেছেন, মেসিও থেকে গেছেন ‘এক মৌসুমের জন্য’। তবে ক্যারিয়ারের শেষটা এখানেই করবেন কিনা সে প্রশ্নের জবাব এখনো মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে সে প্রশ্নের জবাব মিলবে সভাপতি নির্বাচনের পর।
সে নির্বাচন আগামী ২৪ জানুয়ারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে সেটা পিছিয়ে গেছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে কাতালান সরকারের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকের পর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্সা কর্তৃপক্ষ।
বৈঠকে কাতালান সরকার জানিয়েছে, বর্তমান মহামারীকালে পৌরসভার বাইরের অঞ্চলে নির্বাচন আয়োজনের অনুমতি দেয়া সম্ভব নয়। এরপর বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে নতুন কোন তারিখ দেয়া হয়নি নির্বাচনের। ক্লাব কর্তৃপক্ষ বর্তমান ক্রীড়া সংবিধানটি পরিবর্তনের অনুরোধ করেছে স্থানীয় সরকারকে, যেন পরিবর্তিত কোনো নিয়মে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়। আর কাতালান সরকারও বিষয়টিকে দেখছে গুরুত্ব দিয়েই।
বার্সার পরবর্তী সভাপতি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন অনেকেই। নির্বাচন-পূর্ব প্রয়োজনীয় সাক্ষর সংগ্রহে টিকতে পেরেছেন কেবল চারজন। যাদের একজন সাবেক সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা, যার সঙ্গে লিওনেল মেসিসহ সাবেক-বর্তমান বার্সা কিংবদন্তিদের সবারই সম্পর্ক বেশ ভালো। বাকি তিনজন হলেন ভিক্টর ফন্ট, টনি ফ্রেইক্সা ও এমিলি রুশো। তবে শেষজন ইতোমধ্যেই নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে লড়াইটা এখন ত্রিমুখী।
এনইউ