রুপালি পর্দায় কাঠকুড়ানি মেয়ের অলিম্পিক পদকজয়ের গল্প

টোকিও অলিম্পিকে ভারতকে রৌপ্য পদক এনে দেওয়া সাইখম মীরাবাঈ চানুকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করছে মনিপুরি প্রোডাকশন হাউস সেউঁতি ফিল্ম প্রোডাকশন। মীরাবাঈ চানুর জীবনের আলোকে তৈরি করা হবে তার এই বায়োপিক।
মীরাবাঈয়ের শৈশব থেকে শুরু করে তার গ্রামীণ জীবন, ভারোত্তলনে হাতে খড়ি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করা এক কথায় এই সংগ্রামী খেলোয়াড়ের পুরো জীবন তুলে ধরা হবে সিনেমাটিতে। জন্ম থেকেই মীরাবাঈয়ের শারীরিক শক্তি অন্য মেয়েদের তুলনায় ছিল অনেক বেশি। পারিবারিকভাবেই বনে কাঠ কাটতে যেত তার পরিবার। ভারি কাঠের বোঝা যখন তার দাদা তুলতে পারতেন না তখন তিনি অনায়াসেই কাঁধে করে সেই বোঝা বাড়িতে বয়ে নিয়ে আসতেন।
রুপালি পর্দায় কাঠকুড়ানি মেয়ের অলিম্পিক পদকজয়ের গল্প উঠে আসবে। চলচ্চিত্রের নামও ঠিক করে ফেলেছে প্রোডাকশন কোম্পানি। ‘মীরাবাঈ চানু’ নামেই বড় পর্দায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
সেউঁতি ফিল্ম প্রোডাকশনের চেয়ারম্যান মানাওবি এমএম বলেছেন, ‘আমরা মীরাবাঈ চানুর জীবন ও তার সাথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে একটি ফিচার সিনেমা তৈরি করব।’ সিনেমাটি বানানোর জন্য ইতোমধ্যেই সেউঁতি ফিল্মস মীরাবাঈ ও তার পরিবারের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে ফেলেছে।
‘মীরাবাঈ চানু’ সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন চেয়ারম্যান মানাওবি এমএম নিজেই। সিনেমার পরিচালকের দায়িত্বে থাকবেন ওসি মেইরা ও প্রযোজনা করবেন আরকে নালিনি দেবী। সিনেমাটি মনিপুরি ভাষায় বানানো হলেও সকল ভাষাভাষী দর্শকদের কথা চিন্তা করে ইংরেজি ও অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় সাবটাইটেল দেওয়ার কথা জানিয়েছে সেউঁতি ফিল্ম প্রোডাকশন।
২০২০ টোকিও অলিম্পিকে প্রথম ভারতীয় নারী ভারোত্তোলক হিসেবে রৌপ্য জয় করে ভারতকে বিশ্বদরবারে গর্বিত করেন। পদক জেতার পথে মীরাবাঈ সফলতার সাথে ৮৪ কেজি ও ৮৭ কেজি পর্যন্ত ভার উত্তোলন করেন। এই অর্জনের মাধ্যমে মাত্র দ্বিতীয় নারী হিসেবে ভারতের হয়ে অলিম্পিকে মেডেল অর্জনের সম্মান লাভ করেন তিনি।
এআইএ/এটি