জাতীয় দলে ডাক পাওয়া শরিফুলকে নিয়ে ‘গর্বিত’ পঞ্চগড়বাসী

একটা জার্সি, স্বপ্ন অনেক। জাতীয় দল মানে দূরের কল্পনা। কিন্তু শ্রম, লড়াই আর এগিয়ে যাওয়ার তাড়না সেটা কাছে নিয়ে আসতে পারে একটা সময়, একদম কাছে, হাত ছোঁয়া দূরত্বে। তবে সবকিছুর সঙ্গে সহায় হতে হয় ভাগ্যেরও।
শরিফুল ইসলাম সেই ভাগ্যবানদের একজন। শনিবার শরিফুলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮ সদস্যের ওয়ানডে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ, সেখানে আছে তার নাম। প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলের স্কোয়াডে।
অপেক্ষায় আছেন লাল সবুজের জার্সিটা গায়ে তোলার। পঞ্চগড়ের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এই তরুণ লড়বেন দেশের হয়ে। শরিফুল আগে থেকেই ছিলেন পরিচিত মুখ, অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের কল্যাণে। দেশের যেকোনো খেলায় প্রথমবার বিশ্বজয়ের অন্যতম কারিগর হিসেবে। তবে জাতীয় দল যে অবশ্যই বিশেষ কিছু, সেটা টের পাচ্ছে শরিফুলের জেলা পঞ্চগড়। শরিফুলকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছে তার পরিবার ও জেলার মানুষ।
শরিফুল ইসলামের পরিবারের পক্ষে তার বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা গর্বিত। পঞ্চগড়ের মতো একটি প্রান্তিক জেলা থেকে আমার ছোট ভাই আজ জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছে এতে ভাই হিসাবে আমি গর্বিত। আমি দেশবাসী কাছে আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া চাই সে যেন ভালো খেলা উপহার দিতে পারে বাংলাদেশকে।’
পঞ্চগড় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, ‘আমাদের পঞ্চগড়বাসীর জন্য আজকের দিনটি অনেক গর্বের। বাংলাদেশ জাতীয় দলে প্রথম আমাদের পঞ্চগড় জেলার প্রথম শরিফুল ইসলাম সুযোগ পেয়েছে। আমরা তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। সে যেন ভাল খেলা উপহার দিতে পারে।’
এই বিষয়ে শরিফুলের উঠে আসার শুরুর দিকের প্রতিষ্ঠান দেবীগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমীর পরিচালক এস রহমান গুড্ডু বলেন, ‘আমরা দেবীগঞ্জ তথা পঞ্চগড়ের মানুষ গর্বিত। আমাদের পঞ্চগড়ের ছেলে শরিফুল ইসলাম জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েছে। আমরা আশাবাদী সে আবারও দেশের জন্য খেলে ভাল কিছু উপহার দেবে শরিফুলের জন্য শুভ কামনা রইলো।’
শরিফুলের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের মৌমারি এলাকায়। তার বাবা দুলাল মিয়া ও বুলবুলি বেগমের চার ছেলের মধ্যে শরিফুল দ্বিতীয়।
এমএইচ