আক্ষেপ ঘোচাতে ডমিঙ্গো-প্রিন্সের ক্লাসে মেহেদী

প্রায় তিন বছর আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে বাংলাদেশে দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক শেখ মেহেদী হাসানের। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার ধারাবাহিক অলরাউন্ড পারফরম্যান্স জায়গা করে দেয় জাতীয় দলে। তবে আন্তর্জাতিক আঙিনায় এখনো ঠিকঠাক নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। এনিয়ে আক্ষেপ কম নয় তার নিজেরও। টাইগার টিম ম্যানেজমেন্টও জানে, দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ শেখ মেহেদী হাসানের ব্যাটিং।
১৪টি টি-টোয়েন্টি খেলে নামের পাশে মোটে ১১৯ রান জমা করতে পেরেছেন মেহেদী। ১৩ গড়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৩ রান। স্ট্রাইক রেটও টি-টোয়েন্টি সুলভ নয়, ১০০ এর নিচে। যদিও এই ফরম্যাটে ইনিংস বড় করার খুব বেশি সুযোগ পাননি মেহেদী। তবে যে ১ বার ওপেনিং, ২ বার তিন নম্বরে ও ১ বার চার নম্বরে ব্যাট হাতে নেমেছেন সেখানেও ব্যর্থ তিনি। এনিয়ে আক্ষেপ কম নয় মেহেদীরও।
স্বরূপে ফেরা মেহেদী দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি জানান দেয় তার ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স। ৪৫ ইনিংসে প্রায় সাড়ে আটশ-র মতো রান। ফিফটি আছে ৫টি। স্ট্রাইক রেটটাও ১৩০ ছুঁইছুঁই। মেহেদীকে ছন্দে ফেরাতে আজ অনুশীলনে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও ব্যাটিং পরামর্শক অ্যাশওয়েল প্রিন্স বাড়তি ক্লাস নিয়েছেন। প্রিস শ্যাডো করে দেখিয়েছেন ব্যাটিং স্টেপ। কোথায় পরিবর্তন আনা দরকার সেটি দেখিয়েছেন।
আজ অনুশীলনে মেহেদী স্পিন আর থ্রোয়ার সামলেছেন। তার ব্যাটিং দাঁড়িয়ে দেখেছেন ডমিঙ্গো। কিছুক্ষণ পরপরই প্রিন্সকে কথা বলতে দেখা যায় মেহেদীর সঙ্গে। এমন কি স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথও নেটে বল করেছেন মেহেদীকে।
নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে আজ (রোববার) অনুশীলন শেষে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় মেহেদী জানান, ‘বাংলাদেশ দলে মাঝেমধ্যে ওপরেও খেলতে হয়, তখন একটা সুযোগ থাকে, যে সুযোগটা আমি এখনও পর্যন্ত কাজে লাগাতে পারিনি। একটা সুযোগ থাকে ওইখানে টি-টোয়েন্টিতে বেশ কিছু রান করার। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য।’
সঙ্গে যোগ করেন মেহেদী, ‘অবশ্যই ব্যাটিংয়ের ভূমিকা (নিজের) দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ১০ রান হোক বা ৫ রান বা ২০ রান। আমি যে পজিশনে ব্যাট করি আসলে তখন ১০০ মারার সুযোগ থাকে না, ৫০ মারারও সুযোগ থাকে না। তখন ১০ রানই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। যদি ৫ বলে বা ৬ বলে ১০ করি, দলকে অনেক এগিয়ে দেয়।’
ব্যাটিংয়ে পাশাপাশি মেহেদী কথা বলেছেন বোলিং আর ফিল্ডিং নিয়েও। যেখানে দলের তরুণ খেলোয়াড় আফিফ হোসেন, শামীম পাটোয়ারিদের কাছ থেকে শিখছেন বলে জানালেন তিনি।
মেহেদী জানান, ‘আমাদের যেমন আফিফ, শামীম, শান্তদের মতো ভালো ফিল্ডার আছে। ওদের ফিল্ডিং ম্যাচ চলাকালে আমি খুব উপভোগ করি। ওদের থেকে, বিশেষ করে আমি নিজেও শিখতে চাই যে ওরা এত ভালো ফিল্ডিং কিভাবে করে।’
টিআইএস