মেসির লালকার্ডের ম্যাচে বার্সাকে হতাশ করে ট্রফি বিলবাওয়ের

স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে আথলেতিক বিলবাও। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বার্সাকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বিজয় উল্লাসে মাতে বিলবাও। স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার রাতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সা তারকা লিওনেল মেসি।
পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল উত্তাপ। টানাটানা উত্তেজনাকর ফাইনাল গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই বাজিমাত বিলবাওয়ের। বল দখলের লড়াইয়ে পিছিয়ে থেকেও কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তার একটি ঝলক দেখিয়ে বার্সাকে আক্ষেপে পুড়িয়ে তৃতীয়বারের মতো সুপার কাপের শিরোপা ঘরে তুললো বিলবাও। তাতে শিরোপা খরা আরো দীর্ঘায়ত হলো বার্সার।
গত মৌসুমের মতো চলতি মৌসুমের শুরুটাও সুখকর হয়নি বার্সার। মেসির দলবদলের নাটক, সভাপতির পদত্যাগ আর নতুন কোচের আগমন; সবে মিলে মৌসুমের শুরু থেকেই টালমাটাল অবস্থা ছিল বার্সা শিবিরে। তবে শেষ কয়েক ম্যাচে চেনা ছন্দে ফিরেছে দলটি। লিগ টেবিলে ওপরের দিকে উঠে আসার পাশাপাশি সুপার কাপের ফাইনালে তারা।
তবে ফাইনালের মঞ্চে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হলো রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যদের। এই ম্যাচ দিয়ে চোট কাটিয়ে ফিরেছেন মেসি। তবে দলকে উদ্ধার করতে পারেননি তিনি। উল্টো ম্যাচের শেষমুহূর্তে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। বার্সেলোনার হয়ে ৭৫৩তম ম্যাচে নেমে প্রথমবারের মতো লালকার্ড দেখলেন মেসি।
ম্যাচের ২৬তম মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে বিলবাও। তবে ডি-বক্সের মধ্যে থেকে আন্দের কাপারের বুলেট গতির শটটি ফিরিয়ে দেন টের স্টেগান। শুরু থেকেই আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে জমে উঠা ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পায় বার্সা। ম্যাচের ৪০ মিনিটের মাথায় ফাঁকায় বল পেয়ে নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আঁতোয়ান গ্রিজমান।
তবে সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি বিলবাও। ম্যাচের ৪২তম মিনিটে দলটির হয়ে গোল পরিশোধ করেন ওস্কার দে মার্কোস। ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমর্ধের খেলা। বিরতি থেকে ফিরে বিলবাওয়ের সেমিফাইনালের নায়ক রাউল গার্সিয়া একটি গোল করেছিলেন বটে, তবে সেটি ভিএআর প্রযুক্তিয় বাতিল হয়।
আবার দৃশ্যপটে গ্রিজম্যান। ম্যাচের ৭০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে বার্সাকে এগিয়ে নেন তিনি। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই নির্ধারিত সময় শেষ করতে যাচ্ছিলো বার্সা। কিন্তু শেষ সময়ের নাটকে বিলবাও’র আসিয়ের ভিয়ালিব্রে ভলিতে দারুণ এক গোল করে সমতা ফেরান দলকে। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
সেখানে বাজিমাত বিলবাওয়ের। যোগ করা সময়ে বার্সার জালে বল জড়িয়ে দেন উইলিয়ামস। যদিও ম্যাচের ১১০তম মিনিটে আত্মঘাতী গোল খেতে বসেছিল বিলবাও। পরের মিনিটেই দলকে সমতায় ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন গ্রিজমান। দলের হার যখন প্রায় নিশ্চিত, তখন মেজাজ হারিয়ে বসেন মেসি। মাঝমাঠের কাছে আসিয়েরকে অহেতুক আঘাত করেন তিনি। ভিএআরের সাহায্যে লাল কার্ড দেখান রেফারি। মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিকে।
টিআইএস