অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চেয়েও কঠিন ছিল উইকেট : সাকিব

কিছুদিন আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে আতিথ্য দেয় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো অজিদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেই বাজিমাত টাইগারদের। ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ওই সিরিজে স্পিন সহায়ক মন্থর উইকেটের ফায়দা কাজে লাগিয়েছিল স্বাগতিকরা। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও একই পথে হেঁটেছে। তবে সাকিব আল হাসান মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চেয়েও কঠিন ছিল এই উইকেট।
কিউইদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ছিল আজ (বুধবার)। যেখানে সফরকারীদের রীতিমতো মাটিতে নামিয়ে আনে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৭ উইকেটে পাওয়া জয়টি এই ফরম্যাটে ব্ল্যাকক্যাপসদের বিপক্ষে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম জয় বাংলাদেশের। এই ম্যাচে অলরাউন্ড পারফর্ম করেন সাকিব। বল হাতে মাত্র ১০ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে খেলেন গুরুত্বপূর্ণ ২৫ রানের ইনিংস।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে সাকিব জানালেন, ‘আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চেয়েও কঠিন ছিল উইকেটটা। তবে এরপরও আমরা ভালো জায়গায় বোলিং করতে পেরেছি। আর যেহেতু নিউজিল্যান্ডের এমন কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা নেই, তাই তারা ভুগেছে বলে আমার মনে হয়। ব্যাটসম্যানদের জন্য খুবই কঠিন একটা কন্ডিশন, ব্যাটসম্যানরা খুবই কঠিন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে বিশেষ করে এই উইকেটে খেলতে।’
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর কিইউদেরে বিপক্ষে এই সিরিজ যে স্পিন সহায়ক মন্থর উইকেটে হবে সেটি অনুমেয়ই ছিল। অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬২ রানে গুঁটিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডকে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ মাত্র ৬০ রানে বেধে ফেলে। সাকিব জানালেন, এমন উইকেটে খেলতে হলে ১-২ রান খুব গুরুত্বপূর্ণ। উইকেটে থিতু হতে পারলে রান তোলা সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘এখানে আসলে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যতো বেশি সিঙ্গেল নেওয়া যায়। রানিং বিটুইন দ্য উইকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাউন্ডারি মারা খুবই কঠিন। তাই যতটা সম্ভব পজিটিভ মাইন্ডফ্রেমে থাকা যায়। সিঙ্গেল বা ডাবলস নেওয়া সহজ হয়, তখন চাপটা কমে যায়। এরপর থিতু হয়ে গেলে বাজে বলের সুবিধা আদায় করা যায়। এভাবে রান করা হয়তো সম্ভব এখানে।’
টিআইএস