বিশিষ্ট ক্রিকেট কোচ জালাল চৌধুরী হাসপাতালে

বিশিষ্ট ক্রিকেট কোচ ও ক্রীড়া লেখক জালাল আহমেদ চৌধুরী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কয়েকদিন যাবত তিনি কাশিতে ভুগছিলেন। ক্রমাগত কাশি ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
বুধবার দুপুর থেকে জালাল আহমেদ চৌধুরীর বাসায় ছিলেন তার দীর্ঘদিনের শিষ্য সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পাল। গুরুর হাসপাতালে ভর্তি ও শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সাবেক ক্রিকেটার ও কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বলেন, ‘স্যারের ক্রমাগত কাশি হচ্ছিল। কথা বলতে সমস্যা হচ্ছিল। স্যার বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। আজ একটি মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।’
বাসা থেকে হাসপাতালে ভর্তি এবং ভর্তির পরও কয়েক ঘণ্টা কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরীর কাছে ছিলেন দেবব্রত পাল। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার (জালাল আহমেদ) শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে। জালাল আহমেদের ঘনিষ্ঠজনদের ধারণা, ফুসফুসজনিত কোনো সমস্যায় ভুগছেন তিনি।
জালাল আহমেদ চৌধুরী নন-কোভিড অংশে ভর্তি হয়েছেন। আবার তার করোনা পরীক্ষা করা হবে। যদিও দুই দিন আগে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছিল।
বিশিষ্ট এই ক্রিকেট কোচ আজিমপুরে একটি ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করেন। তার সন্তানরা প্রবাসে। আত্মীয়রা তার খোঁজ-খবর রাখেন।
জালাল আহমেদ চৌধুরী সত্তর-আশির দশকে ক্রিকেট খেলেছেন। পরে ক্রিকেট কোচিং করান। তার হাত ধরে দেশের অনেক শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটার তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও জালাল আহমেদ চৌধুরীর ক্রিকেটের ছাত্র ছিলেন। হাল আমলের আশরাফুল-তুষার ইমরানরা তার শিষ্য।
শুধু ক্রিকেট খেলা ও কোচিং নয়, ক্রীড়া সাংবাদিকতাও করেছেন তিনি। দেশের পেশাদার ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। ৭০ ঊর্ধ্ব হয়েও এখনও লেখালেখি করেন তিনি৷ বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় তার লেখার দক্ষতা অসাধারণ। গুণী এ ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া চেয়েছে ক্রিকেটাঙ্গন।
‘আমরা স্যারের পাশে আছি সার্বক্ষণিক। সবাই স্যারের জন্য দোয়া করবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ক্রীড়াঙ্গনকে আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে স্যারের,’ বলেন দেবব্রত।
এজেড/এসএসএইচ