চমকে দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৫ চক্কর দিলেন জুনায়েদ

গতকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় ফিফা রেফারি পরীক্ষায় আলো কেড়েছেন জুনায়েদ শরীফ। সহকারী রেফারি হিসেবে ফিফা ব্যাজের পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। সবাইকে চমকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্যাকে ১৫ চক্কর (ল্যাপ) দিয়েছেন জুনায়েদ।
ফিফা রেফারি-সহকারী হতে দশটি চক্কর দিতে হয়। অনেকে দশ চক্কর সম্পন্ন করতে হিমশিম খান সেখানে জুনায়েদ ন্যূনতমের চেয়ে অর্ধেক বেশি চক্কর দিয়েছেন। খুলনার রুপসা থেকে উঠে আসা এই সহকারি রেফারি বলেন, ‘রেফারিং সম্পূর্ণ ফিটনেসের উপর। তাই আমি নিজেকে ফিট রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আশা করি ফিফা হওয়ার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও লাইনে দাড়াব।’
বাংলাদেশের রেফারিদের মধ্যে সবচেয়ে ফিটনেস সচেতন তৈয়ব হাসান। গতকাল পরীক্ষার সময় তিনি পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলেন। জুনায়েদের ফিটনেসের প্রশংসা করলেন সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান, ‘আন্তর্জাতিক রেফারিংয়ের ১৫ বছর উদযাপন করেছিলাম ১৫ চক্কর দিয়ে। জুনায়েদের ফিফার প্রবেশের মুহূর্তটি দারুণ হলো। আশা করি সে এটি বজায় রাখবে। রেফারিংয়ে ফিটনেসই প্রথম এবং শেষ কথা।’
সহকারি রেফারিদের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে এএফসি এলিট প্যানেলে রয়েছেন মনির ঢালী। বাংলাদেশে আর কোনো রেফারি ও সহকারি রেফারি গত কয়েক বছরে এএফসি এলিটে জায়গা করতে পারেননি। জুনায়েদের এই পারফরম্যান্সে ঢালীও আশাবাদী,‘ সে খুব তরুণ। এই বয়সে ফিটনেস পরীক্ষায় ভালো করেছে। ম্যাচ পরিচালনায় আরো দক্ষতা অর্জন করলে আশা করি আমরা অদূর ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাকে দেখতে পাব।’ মনির ঢালীর দাবি তিনি ১৬ চক্কর দিয়েছিলেন একবার।
২০১৪ সাল থেকে জুনায়েদ রেফারিং শুরু করেন। বিভিন্ন স্তর পেরিয়ে সাত বছরের মাথায় তিনি ফিফা ব্যাজের দ্বারপ্রান্তে। চলতি বছর ডিসেম্বরে ২৫ বছর পূর্ণ করবেন জুনায়েদ।
জাতীয় রেফারিরাই সাধারণত ফিফা রেফারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। গতকালের পরীক্ষায় একজন অংশগ্রহণ করেছেন যিনি প্রথম শ্রেণী হয়েছেন মাত্র।
রেফারিজ কমিটি ফিফা পরীক্ষার্থীদের তালিকা করেছিল আগেই। ২৪ আগস্ট সেই তালিকা চূড়ান্ত হয়। সেই তালিকার বাইরে থেকে শেষ মুহূর্তে দুই জনকে পরীক্ষার সুযোগ দেয় রেফারিজ কমিটি। দুই জনের একজন জাতীয় রেফারি হলেও আরেকজন মাত্র প্রথম শ্রেণি উত্তীর্ণ। দুই জনই অবশ্য ফেল করেছেন।
এজেড/এটি