বিশ্বকাপের উইকেট নিয়ে বোলিং পরিকল্পনা কেমন হচ্ছে বাংলাদেশের?

মন্থর উইকেট বানিয়ে টানা দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। হোক অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দুই প্রতিপক্ষ, তবু দলের এই পরিকল্পনার সমালোচনা হয়েছে ঢের। বিশ্বকাপে আর যাই হোক, এমন মন্থর উইকেট তো আর হবে না!
প্রথাগতভাবেই বিশ্বকাপের উইকেট হয় গতিময়। যেখানে বল ব্যাটে আসবে ভালোভাবেই, মিরপুরের মতো পিচ করেই উঁচুনিচু বাউন্সে ভোগাবে না ব্যাটসম্যানদের। শেরে বাংলার উইকেটে পাওয়া সাফল্য সেখানে ধরে রাখবেন কী করে বোলাররা? সমালোচনার মূল বিষয়ই ছিল সেটা।
তবে অভয় দিচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। জানালেন, ওমান-আমিরাতের উইকেট নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই এঁটে ফেলেছে বাংলাদেশ দল। আজ বুধবার মিরপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, ‘আসলে প্রস্তুতির জন্য আমরা ১০ দিন পাচ্ছি এবং কিছু প্র্যাকটিস ম্যাচও পাবো, হয়তো তিনটার মত। আমাদের যেরকম কন্ডিশনই হোক সেরকম পরিকল্পনামাফিক প্রয়োগ করতে হবে। যখন কাটার কম ধরে তখন ইয়র্কার বা লেংথ বলের প্রয়োগটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। আইসিসি ইভেন্ট যেহেতু, অবশ্যই মাথায় থাকবে ফ্ল্যাট ট্র্যাক বা স্পোর্টিং উইকেট হবে।’
কাজটা চ্যালেঞ্জের। তবে পরিকল্পনামাফিক বোলিং করতে পারলে সেখানে সাফল্য পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়, জানালেন তাসকিন। বললেন, ‘চ্যালেঞ্জিং হবে বোলারদের জন্য, তবে একই সময়ে প্রয়োগটা ভালোভাবে করতে পারলে ভালো করার সুযোগও থাকবে।’
তাসকিন নিজেও তো সুযোগ পাননি। জিম্বাবুয়ে সিরিজে দারুণ বোলিংয়ের পরও দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম নয় ম্যাচে ছিলেন উপেক্ষিত।
তবে সে ঘাটতিটা প্রস্তুতি দিয়ে পুষিয়ে দিচ্ছেন তাসকিন। বললেন, ‘যদিও কন্ডিশনের কারণে লাস্ট দুইটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারিনি কিন্তু শেষ একটা ম্যাচ খেলা হয়েছে। প্রস্তুতি অনুযায়ী ওটিস গিবসন ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে কাজ করা হচ্ছে। প্রস্তুতির জন্য ওখানে গিয়েও আমরা বেশ কিছু সময় পাবো। ইন শা আল্লাহ আমার বিশ্বাস আমরা ভালো কিছু করতে পারবো, করা সম্ভব আমাদের দলের।’
এনইউ