মুস্তাফিজদের বড় পুঁজি এনে দিল যশস্বী-লমরোরের আগুনে ব্যাটিং

যশস্বী জেসওয়াল আর মহীপাল লমরোর যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন, তাতে এক সময় ২০০ ছাড়ানো স্কোরের বড় আশাই তৈরি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস শিবিরে। কিন্তু শেষে এসে মোহাম্মদ শামিরা দারুণভাবে চেপে ধরেছেন রাজস্থানকে। তাতে দুইশ' ছোঁয়া হয়নি আইপিএলের প্রথমবারের চ্যাম্পিয়নদের। তবু ডিফেন্ড করার জন্য মুস্তাফিজুর রহমানদের কাছে ১৮৫ রানের বড় পুঁজিই জমা পড়ে গেছে।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান শুরু থেকেই ব্যাট চালাচ্ছিলো ওভারপ্রতি ১০ রান রেট নিয়ে। এভিন লুইস শুরু থেকেই ছিলেন বেশ স্বচ্ছন্দ, পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে তিনি ২১ বলে ৩৬ রানের দারুণ কার্যকরি এক ইনিংস খেলেছিলেন। তাতে ছয় ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৫৭ রান।
লুইস যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই রাজস্থানকে টানতে থাকেন যশস্বী। রানের চাকায় কিছুটা ভাটা পড়লেও ১০ ওভার শেষে রাজস্থান তুলে ফেলে ৯৪ রান। মাঝে লিয়াম লিভিংস্টোনকে হারালে এরপরই মাঠে আসেন লমরোর।
শুরু থেকে স্বচ্ছন্দ যশস্বী ৪০-এর ঘরে এসে যেন কিছুটা খোলসেই ঢুকে পড়েছিলেন। তবে লমরোর তার ঝড় শুরু করেছিলেন তখনই। রান তোলার গতিটা তাই কখনো কমেনি রাজস্থানের। ৪৯-এ এসে হারপ্রিত ব্রারের অ্যাঙ্গেল করে বেরিয়ে যাওয়া বলে লিডিং এজড হয়ে উইকেট হারিয়ে এলেন যশস্বী।
তখনো দুইশ' পেরোনোর আশা শেষ হয়নি রাজস্থানের, লমরোর ছিলেন যে। দীপক হুডার পরের ওভারে তুললেন ২৪। এরপর শামি এসে লাগাম টানলেন তাতে। তুলে নিলেন ওপাশে থাকা রিয়ান পরাগকে, দিলেন মোটে চার রান। পরের ওভারে আরশদীপ সিংয়ের বলে বিদায় নেন ১৭ বলে ৪৩ রান তুলে ফেলা লমরোর।
পরের গল্পটা পাঞ্জাব বোলারদের। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে রানটাকে দুইশ' পেরোতে দেননি শামি, আরশদীপরা। তাতে ২০ ওভার শেষে ১৮৫ রানে অলআউট হয় রাজস্থান।
এনইউ