আকবর-জয়ের ব্যাটে মুমিনুলদের বিপক্ষে লিড এইচপির

চট্টগ্রামে বুধবার দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও হাইপারফরম্যান্স ইউনিট। গতকাল অধিনায়ক মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর অর্ধশতকে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২২৩ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ‘এ’ দল। আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই মাত্র ৮ রান যোগ করে ২৩১ রানে অলআউট হয় ‘এ’ দল। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক আকবর আলী ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ফিফটিতে লিড পেয়েছে এইচপি ইউনিট।
৮ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৩৭ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে এইচপি। মাহমুদুল হাসান জয় ৭৩ ও আকবর করেন ৫১ রান। ২ উইকেট হাতে রেখে ৬ রানের লিড নিয়ে আগামীকাল (শুক্রবার) তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবে এইচপি। রেজাউর রহমান রাজা অপরাজিত আছেন ৫ রানে।
আগের দিন ৫ উইকেট নিয়ে বাজিমাত করেন এইচপির স্পিনার হাসান মুরাদ। আজ দিনের শুরুতে খালেদ আহমেদের উইকেটও তুলে নেন তিনি। এতে ২৩১ রানে অলআউট হয় ‘এ’ দল। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে এইচপি। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ১১ ও পারভেজ হোসেন ইমন আউট হন ৪ রান করে। শাহাদাত হোসেন দিপু রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন।
চতুর্থ উইকেটে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ১২৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন জয়। তবে ৩ রানের আক্ষেপে পুড়ে রাকিবুল হাসানের বলে কাটা পড়ে তৌহিদ হৃদয়, আউট হন ব্যক্তিগত ৪৭ রানে। সে আক্ষেপে অবশ্য পুড়তে হয়নি জয়কে। ফিফটির স্বাদ পেয়েছেন তিনি। সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন বটে, তবে নাঈম হাসানের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৭৩ রান করে। ১৫৭ বলের ইনিংসটি সাজান ৮টি চারের মারে।
অধিনায়ক আকবরও ফিফটির দেখা পান। ৯১ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৭টি চারের সঙ্গে ১টি ছয় আসে তার ব্যট থেকে। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে আনিসুল ইসলাম ইমন খেলেন ৩৫ রানের ইনিংস। সুমন খান অব অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। দিনের শেষ বলে আউট হয়ে ৩ রান করে ফিরে যেতে হয় তাকে। এতে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৩৭ রান তুলে ৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে এইচ ইউনিট।
‘এ’ দলের হয়ে রাকিবুল হাসান ৩টি ও পেসার খালেদ আহমেদ নেন ২ উইকেট। এ ছাড়া আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, শহিদুল ইসলাম ও নাঈম হাসান পান ১টি করে উইকেট।
টিআইএস/এটি