আগামীকাল শুরু শেখ রাসেল গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে এবং সাইফ পাওয়ারটেকের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ‘শেখ রাসেল গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্ট’। আগামী ১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন। ওইদিন প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে পালিত হবে ‘শেখ রাসেল দিবস’। ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্মদিনেই এই টুর্নামেন্টের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-জানিয়েছেন শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের নেতারা।
ঢাকা মহানগরীর ৩২টি থানা/ইউনিট এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে। দলগুলো নকআউট ভিত্তিতে পরস্পরের বিপক্ষে লড়বে। টুর্নামেন্টের ভেন্যু কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম। টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর। প্রতিদিন ২/৩টি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২ লাখ টাকা; রানার্স আপের জন্য থাকছে ১ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার। এছাড়া টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা খেলোয়াড়, ম্যাচসেরাদের জন্যও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেকের পক্ষ থেকে অর্থ পুরস্কার রাখা হয়েছে।
প্রথম আয়োজন তাই এবার শুধু ঢাকা মহানগরীর ৩২টি দল নিয়ে শেখ রাসেল গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে এই টুর্নামেন্ট গ্রামে-গঞ্জেও আয়োজনের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উপদেষ্টা এবং সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার মোঃ রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগঠন শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের জন্য এটা অত্যন্ত গর্বের যে ১৮ অক্টোবর শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছি। সাইফ পাওয়ারটেকের উদ্যোগে হবে টুর্নামেন্ট। আমরা শুধু এ বছরের জন্য নয়; প্রতি বছরই শেখ রাসেল গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফুটবল অনেক পিছিয়ে গেছে। তৃণমূলে ফুটবল নেই; স্কুল ফুটবলও সেভাবে হয় না। শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের মাধ্যমে আমরা এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে শিশুদের মধ্যে ফুটবলটা ছড়িয়ে দিতে চাই। তৃণমূল থেকে উঠে না আসলে প্রকৃত ফুটবলার পাওয়া সম্ভব হয় না। আমরা তৃণমূল ফুটবল নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। নানান কারণে সেটা করতে পারিনি।’
শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব শহিদ উল্ল্যাহ, দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম ও আরো অনেকে।
এজেড/এনইউ