ফুটবলারদের নিয়ে ভয়ে সাইফ কোচ

রেফারি মিজানুর রহমানের ম্যাচ শেষের বাঁশি। ঘন্টা দুয়েকের জন্য গর্জে ওঠা কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়াম যেন খানিকটা স্তব্ধ হয়ে গেল। স্বাগতিক দল মোহামডোন দুর্দান্ত খেলেও শূন্য হাতে ড্রেসিং রুমে ফিরল। সাদা কালো সমর্থকরা কোভিড উপেক্ষা করে সান্ত্বনা দিতে মাঠে প্রবেশ করেন। মোহামেডানের জাপানি অধিনায়ক ও গোলদাতা উরু নাগাতার সাথে সেলফি তুললেন অনেকে।
ম্যাচ শেষে মোহামেডানের ব্রিটিশ কোচ শেন লে বলেন, ‘৪০-৪৫ মিনিটেই মূলত হেরে গেছি। দুটি ভুলে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করে ম্যাচে ফেরা খুব কঠিন।’
ম্যাচের প্রথম ত্রিশ মিনিট মোহামেডান অসম্ভব চাপে রেখেছিল সাইফকে। সেই ত্রিশ মিনিটের মধ্যে গোল আসলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতে পারতো বলে ভাবনা বৃটিশ কোচের, ‘ওই সময়ে আমরা একটি হ্যান্ডবল পাইনি, আরেকটি আক্রমণ ক্রসবারে লাগল। কিছুটা দুর্ভাগ্যেরও শিকার। একটি গোল পেলে ম্যাচের ফল আমাদেও দিকে আসতো।’
সাইফের বেলজিয়ান কোচ পল পুট অতিমাত্রায় পেশাদার। লিগে প্রথম জয় পেয়েও খুব বেশি উচ্ছ্বসিত নন জর্ডান জাতীয় দলের সাবেক কোচ, ‘এই ম্যাচে শারীরিক শক্তির বেশি প্রদর্শন হয়েছে। শারীরিক শক্তি বেশি হলে ফুটবলাররা ইনজুরিতে পড়বে। সেটা জাতীয় দলেও প্রভাব পড়তে পারে।’
সাইফের বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলাররা হলেন গোলরক্ষক পাপ্পু, ডিফেন্ডার রহমত , ইয়াসিন আরাফাত, আরিফ, ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
পল সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কোচিং করতে আসা কোচদের মধ্যে অত্যন্ত হাই প্রোফাইল। তার কোচিং দর্শন ও বক্তব্যগুলো অনেকটা দার্শনিকতাপূর্ণ, ‘এক ম্যাচে তিন পয়েন্টই শেষ কথা না। আরো ২২ টি ম্যাচ রয়েছে। ফুটবলারদের ফিট ও ইনজুরিমুক্ত থেকে সেরা খেলাটা খেলতে হবে।’
মোহামেডানের ফুটবলাররা দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ছন্দ হারিয়েছিলেন। হোম ম্যাচে সাইফের বিরুদ্ধে হারটা মেনে উঠতে পারছিলেন না। বল দখলের লড়াইয়ে খানিকটা বেশি ফাউলও হচ্ছিল। সাইফের ফুটবলাররাও মাঝে মধ্যে মেজাজ হারিয়েছিলেন। রেফারি মিজান দুই দল মিলিয়ে পাচটি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন। বিষয়টি চোখ এড়ায়নি অভিজ্ঞ কোচ পলের।
এজেড/এমএইচ/এটি